কোন কোন ফলের পুষ্টি ও গুণাগুণ সবচেয়ে বেশি?
প্রিয় পাঠক গণ আপনারা যদি কোন কোন ফলের পুষ্টি ও গুনাগুন সবচেয়ে বেশি?এটি না
জেনে থাকেন বা জানার জন্য কৌতুহলী হয়ে আছেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের
জন্য একদম পারফেক্ট।আশা করছি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং অনেক
কিছু জানতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটিতে আপনারা জানতে পারবেন কোন কোন ফলের পুষ্টি ও গুনাগুন সবচেয়ে বেশি
এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আরো যা যা জানতে পারবেন সেগুলো হল: ফল
খাওয়ার উপকারিতা, ফল খাওয়ার অপকারিতা।আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে সকল বিষয় বিস্তারিত
জানতে পারবেন।আশা করছি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
কোন কোন ফলের পুষ্টি ও গুণাগুণ সবচেয়ে বেশি?
কোন কোন ফলের পুষ্টি ও গুনাগুন সবচেয়ে বেশি,এই প্রশ্নের উত্তরটি কেউ সঠিক ভাবে
দিতে পারবে না।কারণ আমাদের সৃষ্টিকর্তা বিভিন্ন ফলকে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি
দিয়ে তৈরি করেছেন।তাই একটি বলা মুশকিল যে কোন ফলের পুষ্টি ও গুণ সবচেয়ে বেশি।এক
এক ফলে একেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে।
আরও পড়ুন: রক্তের এলার্জি বা চুলকানির লক্ষণ সমূহ
প্রত্যেকটি ফলেরই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন:
স্ট্রবেরি, মাল্টা, আঙ্গুর, কমলা, লিচু, আম, আপেল, তরমুজ ইত্যাদি।এই সকল ফলেরই
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও গুনাগুন রয়েছে। তবে একেক ফলে একেক ধরনের পুষ্টি গুনাগুন
বেশি থাকে।
এদের মধ্যে বিশেষ ভাবে তুলে ধরা যায় কিছু কিছু ফলের নাম।এদের মধ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর উপাদান।এগুলো হল কাস্টার্ড আপেল বা আতাফল, বাদাম, ব্লুবেরি, কলা, পেঁপে, অ্যাভোকাডো এবং আরো কিছু ফল।অ্যাভোকাডো এক ধরনের বিদেশি ফল।এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং রয়েছে খনিজ পদার্থ,যেমন পটাশিয়াম।
তারপরে আসে কলা।কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৬,পটাশিয়াম,ভিটামিন কে এবং প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফাইবার।এরপর পেঁপে, পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং প্যাপাইনের মতো এনজাইম।ব্লুবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন।
ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ফল একটি খুবই উপকারী এবং পুষ্টিসম্মত উপাদান।ফলমূল
আমাদের শরীরের শক্তি যোগান দেয় এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই
উপকারী।প্রত্যেকটি ফলেরই নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে এবং অনেক পুষ্টি উপাদানও
রয়েছে।তবে জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
- প্রতিদিন আমাদের খাবার তালিকা ফল রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি যোগান দেয়।
- ফল খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- ফলে যে সকল ফষ্টের উপাদান থাকে সেগুলো আমাদের ব্রেনের কর্ম ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে। ব্রেন কে সুস্থ রাখে।
- ফল আমাদের দেহকে পানি শূন্যতা থেকে রক্ষা করে আমাদের দেহে পানি সরবরাহ করে।
-
প্রায় সকল ফলেই আশ থাকে। এই সকল আশযুক্ত খাবারকে রাফেজ বলা হয়। রাফেজ আমাদের
পাকস্থলীতে পরিপাকে সহায়তা করে।
-
আবার অনেক ধরনের ফল আছে যেগুলো অনেক ধরনের রোগ বালাই আমাদের শরীর থেকে দূর
করে।
-
ফল আমাদের শরীরে অনেক প্রকার ভিটামিন ও আয়রন বহন করে এবং বিভিন্ন পুষ্টির
চাহিদা পূরণ করে।
এমন কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং এটি খেতেও
খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি এটি আমাদের দেহের পানির চাহিদা পূরণ করে দেয় এরপর রয়েছে
লেবু লেবু সকল প্রকার রোগীর জন্য অত্যন্ত ভালো একটি ফল লেবুর রস আমাদের শরীরকে
রোগমুক্ত করে এবং আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে দেয়।বেদানা বা ডালিম এটিতে
রয়েছে প্রচুর ফরমানে আয়রন এবং ভিটামিন এটি আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি
করে।
ফল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমরা জানি কোন কিছুর যদি ভালো দিক থেকে থাকে তবে সেই জিনিসের খারাপ দিকও
বিদ্যমান রয়েছে।এই প্রসঙ্গে ফলের কথাও ওঠে।ফল যেমন আমাদের জন্য উপকারী একটি
উপাদান তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের জন্য অপকারিও হয়ে থাকে।ফল খেলে আমাদের
শরীরে অনেক শক্তি যোগায়।ফল আমাদের শরীরের পুষ্টি সাধন করে।
ঠিক তেমন এভাবে ফল আমাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতিও করতে পারে ফল সকলের জন্য ভালো হতে
পারে ফল সকলের জন্য খারাপও হতে পারে।ফল বিভিন্ন রোগীদের জন্য অপকারী হয়ে
থাকে।যেমন: ডায়াবেটিস রোগী, কিডনি রোগী, লিভারের রোগী, স্ট্রোক রোগী,
হাইপ্রেসার এর রোগী।এছাড়াও বিভিন্ন রোগীদের জন্য কিছু কিছু ফল উপকারি নয়।বরং
অপকারী হয়ে থাকে তাই সকল ফলের অপকারিতা ভালো করে জেনে তবেই খাওয়া ভালো।
তা না হলে বিভিন্ন রোগের জন্য একটি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।তাই সকল ফল খাওয়ার
আগে জেনে রাখতে হবে যে কোন কোন ফলে কোন কোন রোগী অপকারী হয়। বিভিন্ন ধরনের
রোগীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়া নিষিদ্ধ বা অতি সামান্য পরিমাণে খেতে বলা
হয়ে থাকে।এই নিষেধ মেনে আমাদের ফল খাওয়া জরুরী।তা না হলে এটি আমাদের
স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে।আমরা জানি ,প্রায় সকল ফলই
মিষ্টি হয়ে থাকে এবং রসালো হয়ে থাকে।ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার, স্ট্রোক, কিডনি
রোগীদের জন্য এ ধরনের ফল খাওয়া উচিত নয়।এটি আমাদের রোগকে আরো বাড়িয়ে তোলে
তাই বলা যেতে পারে।ফল খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি
অপকারীও।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা আমার এই আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু অজানা তথ্য খুঁজে
পেয়েছেন এবং অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।আমার বক্তব্যের শেষে এটাই বলতে চাই যে আমার
এই আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং
আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url