বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত?

অনেকেই জানতে চান বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত এবং বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।আপনারা হয়তোবা অনেক জায়গাতেই এই বিষয়টি খোঁজাখুঁজি করে ফলাফল পাননি।তাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটিতে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।আপনারা যদি এই বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন এবং এ বিষয়টি জানতে চান তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।
তাহলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর টি পেয়ে যাবেন।আশা করছি আজকে আমার এই আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পরবেন আমি এই আর্টিকেলটিতে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত?এই বিষয়টি ছাড়াও আরো অনেক ইম্পরট্যান্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।যেমন:বিড়ালের যত্ন ও পরিচর্যা,বিড়ালের ভ্যাকসিন ইত্যাদি সম্পর্কে।

বিড়ালের যত্ন ও পরিচর্যা

আজকাল প্রায় আমরা সকলেই আমাদের নিজেদের পছন্দের প্রাণীদের পোষা প্রাণী হিসেবে লালন পালন করি।এর মধ্যে বিড়াল একটি অন্যতম পোষা প্রাণী।বিড়াল প্রায় সকলেরই একটি পছন্দের পোষা প্রাণী।তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে আমাদের পছন্দের পোষা প্রাণীদের যত্ন ও পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়।

যত্ন ও পরিচর্যা দুটোই নিশ্চিত করে আমাদের পোষা প্রাণী পালন করা উচিত।যদিও পোষা প্রাণী বিড়াল নিজেদের মতো চলাফেরা করতে পছন্দ করে।তবুও তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।কারণ তারা আমাদের পছন্দের পোষা প্রাণী।আপনাদের পছন্দের পোষা প্রাণী যদি বিড়াল হয়ে থাকে তাহলে তার প্রতি যত্নবান হতে হবে এবং এর কখন কোন জিনিস প্রয়োজন তা পরিচর্যা করতে হবে।


বিড়ালের প্রতি যত্নবান না হলে বিড়াল আমাদের পোষা প্রাণী হয়ে উঠতে পারবে না।বিড়াল যেহেতু পোষা প্রাণী হিসেবে বাসা বাড়িতে থাকে তাই সে তার স্বাধীন মত চলাফেরা করতে পারেনা বা তাদের ইচ্ছামত কিছু করতে পারে না।তাই আমাদের কে নিশ্চিত করতে হবে আমাদের পোষা প্রাণী বিড়ালের কখন কি দরকার সেদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।বিড়াল লালন পালনের আগে আমাদের অনেক কিছু জানতে হবে যেমন:বিড়াল কিভাবে লালন পালন করতে হয়,বিড়ালের কিভাবে যত্ন নিতে হয়, কিভাবে পরিচর্যা করতে হয় ইত্যাদি।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিড়ালের যত্ন ও পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়।

  • বিড়ালের যত্ন ও পরিচর্যা সঠিকভাবে করার সর্বপ্রথম মাধ্যম হলো তাদের থাকার জায়গা ও খাবার নিশ্চিত করা।
  • বিড়াল নিজের মত চলতে পছন্দ করে।তবে বিড়াল যেহেতু আমরা বাসা বাড়িতে পালতে চাই তাই তাদের থাকার জায়গা তৈরি করে দিতে হবে।মনে রাখা প্রয়োজন বিড়াল সবসময় উচু বা ছোট চাপা জায়গা পছন্দ করে।তাদের জন্য বাসায় নিরাপদ জায়গা নির্ধারণ করা জরুরি।কারণ তারা যদি বাহিরে যায় তবে তারা অন্য প্রাণী দ্বারা আক্রমণ হতে পারে।আবার কোন রোগও বয়ে আনতে পারে।এই বিষয়টি আমাদের নজর রাখতে হবে।
  • বিড়ালের বাস্থানের পর বিড়ালের খাবার নিশ্চিত করতে হবে।আমরা জানি বিড়াল মাছ খেতে পছন্দ করে।তবে বিড়াল মাছ যতই পছন্দ করুক না কেন প্রতিদিন একই খাবার খেলে সেটি তাদের অভক্তি হয়ে যায়।তখন তারা খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়।এটি বিড়ালের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত খারাপ দিক।এই জন্য বিড়ালকে তার পছন্দের বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন।যেমন:সিদ্ধ করা সবজি,মুরগির মাংস,সিদ্ধ ডিম,ক্যাট ফুড,দুধ ইত্যাদি।খাবারের পাশাপাশি বিড়ালকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে।প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী বিড়ালকে খাবার ও পানি দেওয়া প্রয়োজন।মনে রাখতে হবে বিড়াল খুবই সেনসিটিভ প্রাণী।তাই কোন কারণে যদি বিড়ালের মন খারাপ থাকে তবে সে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়। সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হবে।
  • বিড়াল অপরিষ্কার থাকার কারণে বিড়ালের গায়ে উকুন হাওয়া সম্ভাবনা থাকে।তবে এতে ভয়ের কিছু নেই।বাজারে বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিড়ালের শ্যাম্পু পাওয়া যায়।সপ্তাহে একদিন করে বিড়ালকে এই শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে দিতে হবে।

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত

পোষা প্রাণী বিড়াল বা বাহিরের কোন বিড়াল তখনই আমাদের কেবল বা আঁচড় দেয় যখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে বা ভয় পেয়ে থাকে।বিড়ালের আচর যদি আমাদের শরীরে খুব সামান্য পরিমাণে লাগে তখন সেটি নিয়ে ততটা দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।তবে বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের ফলে যদি আমাদের শরীরের সেই ক্ষতস্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয় তবে শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন বা টিকা প্রদান করা উচিত।
বিড়ালের লালা যদিও অন্য প্রাণীদের থেকে পরিষ্কার তবুও তারা জলাতঙ্ক রোগ বহন করে থাকে।বিড়ালের কামড় লাগলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের রাবিশ নামের ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ করতে হবে।আমরা যদি এই বিষয়টি অবহেলা করে ভ্যাকসিন বা টিকা না নিই তাহলে এটি জলাতঙ্ক রোগের দিকে এগিয়ে যাবে।আর কেউ চায় না যে সে জলাতঙ্ক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হোক।কারণ এই রোগটি প্রচন্ড ভয়ানক একটি রোগ। 

তাই আমাদের যদি বিড়াল কামড় দিয়ে থাকে তবে আমাদেরকে খুব শীঘ্রই রাবিশ ভ্যাকসিন রাবিশ ভ্যাকসিন টি নিতে হবে।এখন আসি বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত বা রাবিশ ভ্যাকসিন এর দাম সম্পর্কে। জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন অথবা রাবিশ ভ্যাকসিন এর দাম প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।কিন্তু আমরা যদি খুব শীঘ্রই আক্রান্ত হওয়ার পর পরে কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হই তবে আমরা বিনামূল্যে এ ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করতে পারবো।

এই ভ্যাকসনটির ডোজ প্রায় চারটি আমাদেরকে চারটি ডোজই কমপ্লিট করতে হবে।জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত রোগীরা প্রায় মারা যায়।তাই আমাদের এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং কোন বিড়ালের কামড় দ্বারা আক্রান্ত হলে রাবিশ ভ্যাকসিন যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে নিতে হবে।বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত এটি যেন আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী।

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়

আমরা অনেকেই শখ করে বিড়াল পালন করি কারণ বিড়াল খুবই শান্ত প্রজাতির প্রাণী আর বিড়াল খুবই পরিষ্কার হয়ে থাকে এরা সবসময় পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে এবং এরা নিজেদের মতো চলতে পছন্দ করে তবে কোন কারনে বিড়াল ক্ষিপ্ত হয়ে বা ভয় পেয়ে তাদের আশেপাশে থাকা মানুষদের ওপর আক্রমণ করে এবং তারা আমাদের কে কামড় এবং আঁচড় দিয়ে ফেলে এর ফলে আমাদের আক্রান্ত স্থান থেকে কখনো কখনো রক্তপাত হয় রক্তপাত হলে খুব শীঘ্রই আমাদের টিকা গ্রহণ করতে হবে।

বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় এই কথাটি জানার আগে বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত এটিও আমাদের জানা জরুরি। জলাতঙ্ক রোগের টিকার নাম রাবিশ ভ্যাকসিন।বিড়ালের কামরের ২৪ ঘন্টা বা একদিনের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনটি আমাদেরকে দিতে হবে।কারণ জলাতঙ্ক রোগটি আমাদের শরীরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।একবার যদি এই রোগটি আমাদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তখন এই রোগটিকে সারিয়ে তোলা যায় না।তাই জলাতঙ্ক রোগের প্রথম ডোজটি 24 ঘন্টার ভিতরেই দিতে হবে।পরের ডোজ গুলো তৃতীয়,সপ্তম,চতুর্দশ,তম দিনে দিতে হয়।

বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা জানি খুবই শান্তশিষ্ট প্রাণী তাই অনেকেই বিড়ালকে পালতে পছন্দ করে।বিড়াল পালনে বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে আবার বিড়াল পালনে বিভিন্ন অপকারিতাও রয়েছে।আমরা জানি কোন জিনিসের উপকারিতা থাকলে সেটির অপকারিতাও থাকে।বিড়াল পালনের অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা বেশি দেখা যায়।খুব সামান্য পরিমাণে বিড়াল পালনের অপকারিতা লক্ষ্য করা যায়।আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক বিড়াল পালনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
বিড়াল খুবই শান্ত স্বভাবের প্রাণী তাই বিড়াল পালনকারীকে বিড়ালের পেছনে খুব বেশি খাটা খাটনি করতে হয় না।বিড়াল যেই বাড়িতে থাকে সেই বাড়িতে  জ্বীন প্রবেশ করতে পারে না।বিড়াল আমাদের বাড়িতে ইঁদুর থাকতে দেয় না।যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী।ইদুর আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট করে ফেলে।যেই বাড়িতে বিড়াল থাকে সেই বাড়িতে কখনো ইঁদুর আসে না।

বিড়াল ও ইদুর দুজন দুজনের পরম শত্রু।বিড়াল খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি প্রাণী তাই বিড়াল পালন করলে আমাদের ঘরবাড়ি নোংরা হয় না।বিড়ালের লালা সকল প্রাণীর চেয়ে বেশি পরিষ্কার হয়ে থাকে।বিড়াল যদি কোন খাবারে মুখ দিয়ে থাকে তবে সেই খাবার বিষাক্ত হয় না।বিড়াল পালন করলে বিড়াল পালনকারীদের বিভিন্ন রোগ বালাই দূর হয়ে যায়।


যেমন:হৃদ রোগ,হাঁপানি,উচ্চ রক্তচাপ,হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি।বিড়াল মাঝে মাঝে যেই গর গর আওয়াজ করে সেটি মানুষের স্নয়ুবিক যেকোনো সমস্যা দূর করে এবং স্নয়ুবিক অবস্থার উন্নতি হয়।বিড়ালের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।এটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি প্রাণী।অপরদিকে বিড়ালের কিছু অপকারিতা আছে যেমন বিড়ালের মাধ্যমে করো করো এলার্জিও হতে পারে।সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিড়াল কামড়ালে যদি আমাদের শরীর থেকে রক্ত পড়ে তাহলে অতি শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা নিতে হবে।তা না হলে একটি জলাতঙ্ক রোগে পরিণত হতে পারে।সেক্ষেত্রে আমাদের আগে থেকেই জেনে রাখা ভালো বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত।বিড়াল আমাদের বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।বিড়াল পালন করলে আমাদের খাবারের সাথে বিড়ালের লোম যেন আমাদের পেটে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।কারণ বিড়ালের লোম আমাদের পেটে প্রবেশ করলে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ হতে পারে।

উপসংহার

আশা করছি আপনারা বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত আমার এই আর্টিকেল থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছেন এবং আমার আর্টিকেলটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন।বক্তব্য শেষ প্রান্তে এসে আমি এটাই বলব যে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের আত্মীয়-স্বজন,পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আমার আর্টিকেলটি শেয়ার করুন এবং মন্তব্য করে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url