স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

আমরা অনেকেই জানিনা স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো কি কি।অনেকেই অনেক জায়গাতে এই বিষয়ে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন।আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।এর পাশাপাশি স্নায়ু রোগের জন্য কোন ব্যায়াম ভালো এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনারা অনেক কিছু বিষয় জানতে পারবেন।
আমারে আর্টিকেলটিতে উপরোক্ত বিষয় গুলো ছাড়াও আরো ইম্পরট্যান্ট কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি।আশা করছি আপনারা সেগুলো পড়বেন এবং পরে কিছুটা উপকৃত হবেন।আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।

স্নায়ু রোগের জন্য কোন ব্যায়াম ভালো?

ব্যায়াম আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং ফিট রাখতে সহায়তা করে।আমাদের শরীরের যত্নে ব্যায়াম খুবই কার্যকরী।ব্যায়াম করলে যেমন আমাদের শরীর সুস্থ থাকে তেমনি আমাদের এবং আমরা জানি শরীর ও মন সুস্থ থাকলে কোন প্রকার রোগ আক্রান্ত করতে পারে না এবং আমাদের শরীরে যদি কোন রোগ আক্রমণ করে বা আমাদের শরীরে যদি কোন রোগ থেকে থাকে তাহলে তাহলে ব্যায়াম করলে সেই সকল রোগ থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: কোন কোন সবজি খেলে ওজন বাড়ে জেনে নিন

তাই ব্যায়াম খুবই উপকারী আমাদের শরীরের জন্য।প্রতিদিন ব্যায়াম করা খুবই একটি ভালো অভ্যাস।ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো স্নায়ু রোগের জন্য ও কিছু কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করলে আমাদের শরীরের ব্যথা কমে যেতে পারে।স্নায়ু রোগীরা এ সকল ব্যায়াম গুলো করতে পারেন।চলুন স্নায়ু রোগের ব্যায়াম গুলো শিখে নেওয়া যাক। সকল ব্যায়াম ই আমাদের শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে। স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানার পাশাপাশি আমাদের এটিও জানতে হবে যে স্নায়ু রোগের জন্য কোন ব্যায়াম ভালো।

হাঁটাহাঁটি করা: আমরা জানি প্রতিদিন হাটাহাটি করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি অভ্যাস বা ব্যায়াম।আমরা যদি প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট বা আধাঘন্টার করে হাটাহাটি করি তাহলে সেটি আমাদের শরীরকে সকল রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করবে।হাঁটাহাঁটি করা সকল রোগের জন্য ভালো একটি ব্যায়াম।তাই আমাদের সকলেরই উচিত প্রতিদিন সকালে আধাঘন্টা করে হাঁটাহাঁটি করা পারলে একটু দৌড়ানো যেতে পারে।

স্ট্রেচিং করা: হাটাহাটির আগে স্নায়ু রোগীদের একটু স্ট্রেচিং করাও খুবই জরুরী স্নায়ু রোগীদের জন্য স্ট্রেচিং করা খুব ভালো একটি ব্যায়াম তাই স্নায়ু রোগীদের স্ট্রেচিং করতে হবে।

এরোবিক এক্সারসাইজ: স্নায়ুর রোগীদের এরোবিক এক্সারসাইজ করা খুবই জরুরী।এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে আমাদের হাত পা এবং নিউরন গুলো সচল হয়ে ওঠে।আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। এক্সারসাইজ খুবই ভালো একটি অভ্যাস আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য।তাই স্নায়ু রোগীদের উচিত
এরোবিক এক্সারসাইজ করা।

সাঁতার কাটা: সাঁতার কাটা ও খুবই ভালো একটি অভ্যাস।সাঁতার কাটলে আমাদের শরীরের কিছুটা ব্যায়াম হয়ে যায়।সাঁতার কাটাকে ব্যায়াম হিসেবে বিবেচিত করা হয়।সাঁতার কাটলে আমাদের হাত পায়ের খুব ভালো একটি ব্যায়াম হয়। তাই আমাদের উচিত সাঁতার কাটার অভ্যাস গড়ে তোলা।

স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

মানুষ এখন প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।যেমন: স্ট্রোক,ডায়াবেটিস,উচ্চ,রক্তচাপ,হৃদরোগ,ইত্যাদি।এইসব রোগের মত স্নায়ু রোগও দিন দিন আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।এখন প্রায় মানুষেরই এই সমস্যাটি দেখা দিচ্ছে।স্নায়ু রোগ হল স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা।এই রোগটি খুবই যন্ত্রণা দায়ক একটি রোগ।একমাত্র স্নায়ু রোগীরাই বুঝতে পারেন এই রোগটি কেমন যন্ত্রণার।
তাই আমাদের সকলেরই জেনে রাখা উচিত যে স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো কি কি তাহলে চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।সকল রোগেরই লক্ষণ দেখা যায় বা লক্ষণ রয়েছে।তার সাথে সাথে সেই রোগের প্রতিকার রয়েছে।স্নায়ু রোগের লক্ষণ সমূহ হলো:
  • স্নায়ু রোগের প্রধান লক্ষণ হল সকল হাত-পা জ্বালাপোড়া করবে এবং এর সাথে সাথে হাত-পায়ে ঝিঝি ধরবে
  • মাঝে মাঝে এমনও অনুভূতি হয়, যেন কেউ শরীরের মধ্যে সুচ বা কাটা জাতীয় কিছু জিনিস ফুটিয়ে দিচ্ছে
  • মাঝেমধ্যে ছোটখাটো মেমোরি লসও দেখা দিতে পারে
  • স্নায়ু রোগীর সারা শরীর অবশ হতে শুরু করে
  • স্নায়ু রোগীর হাত-পা অথবা সারা শরীর কাঁপতে থাকে এবং রোগী প্রচন্ড দুর্বল অনুভব করে
  • স্নায়ুর রোগের সবচাইতে পরিচিত একটি লক্ষণ হল মাথা ব্যথা করা মাথা ঝিমঝিম করা ঘাড় ব্যথা করা
  • স্নায়ু রোগীরা চোখে সাধারণত কম দেখতে শুরু করে।
স্নায়ু রোগের লক্ষণ এর পাশাপাশি প্রতিকার রয়েছে সকল রোগেরই প্রতিকার থাকে আমাদের সবার নয় রগের লক্ষণের পাশাপাশি এর প্রতিকার জানা প্রয়োজন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক স্নায়ু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে স্নায়ু রোগীকে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।যেমন:

হালকা ঠান্ডা বা গরম সেক দেওয়া: স্নায়ুর রোগীর যখন সারা শরীর ব্যথা করে বা ঝিনঝিন করে তখন হালকা ঠান্ডা বা গরম সেক দিলে তৎক্ষণাৎ আরাম পাওয়া যায়।স্নায়ু রোগীকে উষ্ণ গরম পানির সেক বা হালকা ঠান্ডা কিছুর সেক দিতে হয়।তাহলে রোগী কিছুটা আরাম পায়।

মালিশ করা: স্নায়ু রোগীকে সারা শরীরে অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল গরম করে মালিশ করে দিলে স্নায়ু রোগী হালকা কিছুটা আরাম বোধ করে।

মেথি দানার ব্যবহার: স্নায়ু রোগীর জন্য মেথি দানা একটি কার্যকরী উপাদান।আমরা সাধারণত মেথি দানা কে রান্নাতে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।মেথিদানা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।অনেকেই জানেন না এটি রান্নার উপকরণ হিসেবে কাজ করে আবার শরীরের বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান করে থাকে।স্নায়ু রোগীর শরীরের ব্যথা নিরাময়ে মেথির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

হলুদের গুড়া: হলুদের গুড়া ও খুবই কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে স্নায়ুর জন্য।প্রতিদিন হালকা গরম দুধের সাথে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে সেটি স্নায়ুর জন্য খুবই উপকার হবে।

যোগাসন বা ব্যায়াম করা: প্রতিদিন সকালে যোগাসন বা ব্যায়াম করলে আমাদের দুর্বল স্নায়ু গুলো সচল হয়ে ওঠে।যোগাসন করা এবং ব্যায়াম করা এই দুটি আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি আমাদের শরীরের স্নায়ুর জন্যও খুবই কার্যকরী।তাই প্রতিদিন সকাল করে যোগা বা ব্যায়াম করতে হবে।
কাঁচা লবণ এড়িয়ে চলা: কাঁচা লবণ আমাদের শরীরের জন্য খুবই খারাপ একটি উপাদান।এটি আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্যও এটি ক্ষতিকর।কাঁচা লবণ আমাদের স্নায়ুবিক নানান ক্ষতি করে।

শারীরিক ওজন কমানো: শরীরের ওজন যদি বেড়ে যায় তবে আমাদের শরীরের অনেক ধরনের সমস্যা হয় এবং অনেক ধরনের রোগ আক্রান্ত করে।এর মধ্যে স্নায়বিক সমস্যাও রয়েছে।তাই আমাদের সকলেরই উচিত শরীরের ওজন কমানো।

স্নায়ুর সমস্যার কারণ কি?

কারণ ছাড়া কোনো রোগই আক্রান্ত হয় না।সকল রোগেরই কোন না কোন কারণ থেকে থাকে।তাই বলা যায় স্নায়ু রোগেরও কিছু না কিছু কারণ রয়েছে।স্নায়ু রোগ হল নিউরন বা নার্ভের এক ধরনের রোগ।বিভিন্ন কারণে আমাদের দেহে স্নায়ু রোগ দেখা দিতে পারে।চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক স্নায়ু সমস্যার কারণ কি কি রয়েছে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
  • পুষ্টির অভাবজনিত কারণে স্নায়ু রোগ স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শরীরের আঘাত জনিত কারণেও স্নায়ু এর সমস্যা হতে পারে।
  • অত্যন্ত মানসিক টেনশন এর কারনে স্নায়ু এর দেখা সমস্যা দিতে পারে।
  • অস্বাভাবিক জীবনযাপনের কারণেও স্নায়ু রোগ আক্রান্ত করে।
  • অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসও স্নায়ু সমস্যার কারণ হতে পারে।

শেষ মন্তব্য

স্নায়ুর সমস্যা একটি খুবই জটিল সমস্যা।স্নায়ু রোগীদের হাত পা সব সময় জ্বালাপোড়া করতে থাকে।এটি খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ।আশা করছি আমার আজকের স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।বক্তব্যের শেষে আমি এই কথা বলে শেষ করতে চাই যে আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে দয়া করে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারা আমার এই আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হতে পারে এবং লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url