আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে?
ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায় এবং আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে?এই প্রশ্নগুলো প্রায় সবার মনেই জাগে।আপনিও যদি এই বিষয়টি জানার জন্য আগ্রহী হয়ে থকেন তাহলে আজকের এই আার্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমার এই আর্টিকেলটিতে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে?এই বিষয়টি ছাড়াও আরও আপনার প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটির অন্যান্য বিষয় গুলোও আপনার উপকারে আসবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
বর্তমান শিক্ষা ও চাকরির বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ।এই দুটি বিষয়ই বিপর্যয়ের মুখে অবস্থান করছে।তবে এ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য সঠিক ইনকামের পদ্ধতি বেছে নেওয়া জরুরী।বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই খারাপ হয়ে উঠেছে এবং বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষই বেকার রয়ে যাচ্ছে।কারণ আমাদের দেশের চাকরির বাজার ও বেশ ভালো নয়।
আরও পড়ুন: রক্তের এলার্জি বা চুলকানির লক্ষণ সমূহ
এর জন্য সঠিক পদক্ষেপ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অনলাইনে কাজ করা।এর জন্য কোন শিক্ষা বা কোন যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না।ছোট বড় প্রায় সকলেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কাজ করতে পারে।এখান থেকে অনেক ভালো একটা ইনকাম সোর্স আসে।তাই আমাদের সকলেরই উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিজের ক্যারিয়ারকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা।কারণ একবার ডিজিটাল মার্কেটিং এ সফল হয়ে উঠলে সেটা কখনো বিফলে যাবেনা।
বরং সেখান থেকে অনেক ভালো একটা ইনকাম আমাদের চলে আসবে।আমাদের জেনে রাখা দরকার আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে?কারণ তিনি আধুনিক মার্কেটিংয়ে অনেক অবদান রেখেছিলেন।তিনি হলেন ড. ফিলিপ কোটলার।এখন আসি ডিজিটাল মার্কেটিং কি?ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইনে ডিজিটাল মাধ্যমে কোন কিছু মার্কেটিং করাকে বোঝায়।ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স যদি আমরা সফলভাবে কমপ্লিট করতে পারি এবং দক্ষ হয়ে উঠতে পারি,
তাহলে এর মাধ্যমে আমাদের অনেক ভালো ইনকাম আসবে এবং কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।আমরা আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স শিখে।ডিজিটাল মার্কেটিং কখনো ভ্যানিশ হয়ে যাবে না।বরং এর কদর দিন দিন বাড়তেই থাকবে।আমরা অনেকের বিভিন্ন জিনিসের বিজনেস বা ব্যবসা করে থাকি তবে আমরা এটি নিশ্চিত করতে পারি না যে কখন সেই ব্যবসাটার লাভ হবে বা কখন সেই ব্যবসা ক্ষতি হবে।
কিন্তু একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার যখন ডিজিটাল মার্কেটিং করতে শুরু করে তখন এটি নিশ্চিত হয়ে যায় যে এখান থেকে তার ইনকাম আসতেই থাকবে এবং আসতে থাকবে।ডিজিটাল মার্কেটিং করলে কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না।আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা চাকরি বা জব করে থাকে আমরা কখনো এটি নিশ্চিত করে বলতে পারব না যে আজকে আমাদের চাকরি থাকবে কিনা।
কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে একজন ডিজিটাল মার্কেট নিশ্চিত থাকতে পারে যে তার এই ব্যবসাটি কখনো ধ্বংস হবে না বা কোন ক্ষতি হবে না।আজকাল প্রায় সকলেই ফ্রিল্যান্সার বা ডিজিটাল মার্কেটার হতে চায় কারণ এই বিজনেসটিতে কখনো কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না।আর এটি গ্যারেন্টি সহকারে বলা যায় যে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বা ডিজিটাল মার্কেটার হলে ইনকাম আসবেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার
ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে কাজ করা হয় এবং অফলাইনেও কাজ করা হয়।সুতরাং ডিজিটাল মার্কেটিং কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।একটি হল অফলাইন আর অন্যটি হলো অনলাইন।তবে বর্তমানে অফলাইনের চাইতে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কদর অনেক বেশি।অনলাইন ডিজিটাল মর্কেটিংয়ের প্রকারভেদ: ১.(SEO) এসইও, ২.(SEM) সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, ৩.(PPC) পে-পার ক্লিক,৪.(SMM) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ৫.কন্টেন্ট মার্কেটিং, ৬.ই-মেইল মার্কেটিং, ৭.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ৮.ফেসবুক মার্কেটিং, ৯.ইউটিউব মার্কেটিং।অফলাইন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ: ১.রেডিও মার্কেটিং, ২.টেলিভিশন এডভার্টাইজিং, ৩.মোবাইল এডভার্টাইজিং, ৪.ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং।
অনলাইন মার্কেটিংএসইও(SEO):সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে এসইও বলা হয়ে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(SMM):Facebook,youtube,google ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বা এসএমএম বলা হয়।
কন্টেন্ট মার্কেটিং:ভিডিও,অডিও,আর্টিকেল ও কনটেন্ট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে কন্ট্যান্ট মার্কেটিং বলা হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্ডার প্রোডাক্ট সেল করার মাধ্যমে ইনকাম করাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।
অফলাইন মার্কেটিং
রেডিও মার্কেটিং:রেডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে রেডিও মার্কেটিং বলা হয়।
টেলিভিশন এডভার্টাইজিং:আমরা জানি যে টেলিভিশনে প্রচুর পরিমাণে এডভারটাইজ বা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় এগুলোকে টেলিভিশন অ্যাডভার্টাইজিং বলা হয়।
মোবাইল এডভার্টাইজিং:মোবাইল ফোনে মাঝে মাঝে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে কিছু কিছু অফার বা এসএমএস কল পাই এটাকে বলা হয় মোবাইল এডভার্টাইজিং।
ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং:আমরা শহর এলাকার মাঝে মাঝে বড় পর্দাতে বিভিন্ন এডভারটাইজিং দেখতে পাই এগুলো হলো ইলেকট্রনিক বিল বোর্ড এটাকেই বিলবোর্ড মার্কেটিং বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
এখন পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই মর্জাদাশীল পেশা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে যে পেশাটি সেটি হল ডিজিটাল মালকেটিং।ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোন কিছু প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে মার্কেটিং করা কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করার সবচেয়ে ভালো পেশা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রকার আয় করা সম্ভব।দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বেশি হলে ডিজিটাল মার্কেটিং ফিন্যান্সিং সেক্টর থেকে বেশি আয় করা সম্ভব আর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কম হলে ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কম আয় করা সম্ভব।এটি পুরোটাই নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার উপর।
আরও পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়
ফ্রিল্যান্সিং এর এই সেক্টরটিতে আপনি যত বেশি কাজে দক্ষ হবেন আপনার আয় তত বেশি হবে।তাই নির্দিষ্ট করে বলা যায় না যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কত আয় করা সম্ভব।ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর থেকে বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে হলে আপনাকে প্রথমে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টিকে ভালোভাবে জানতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনাকে আগে এক্সপার্ট হতে হবে।
তবে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।কথায় আছে যেমন কর্ম তেমনি ফল।তবে আপনারা যদি একবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সেক্টরটিতে এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে এটা নিশ্চিত যে আপনি এই সেক্টরটি থেকে সফলভাবে ইনকাম করতে পারবেন।একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার বিভিন্নভাবে প্রচুর ডলার ইনকাম করতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করার আগে আমাদের বিভিন্ন বিষয় জানতে হবে।যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি,ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়,আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে এরকম কিছু টপিক।
আপনিও পারবেন যদি আপনি এই সেক্টরটিতে একদম দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।এই সেক্টরটিতে ইনকামের কোন সীমাবদ্ধতা নেই আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম আপনার আসতেই থাকবে।একবার আপনি সফল হয়ে উঠলে এই সেক্টরটি থেকে ইনকাম করতে কেউ আপনাকে বাধা দিতে পারবে না।ডিজিটাল মার্কেটিং কি, কিভাবে করতে হয়?কারো কারো কাছে এই সেক্টরটি কঠিন আবার কারো কারো কাছে এই সেক্টরটি সহজ মনে হয়।
যারা এই সেক্টরে একদম এক্সপার্ট এবং দক্ষ হয়ে ওঠে তারা এই সেক্টর থেকে ইনকাম করতে পারে।কিন্তু যারা দক্ষ হতে পারে না তারা কখনোই ইনকাম শুরু করতে পারবে না।ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর থেকে ডলার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়।একজন ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে ওঠা অনেক কষ্টকর।কিন্তু সফলভাবে এই সেক্টরটি অর্জন করার পর ইনকাম যখন শুরু হবে তখন সেই কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না।ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইনে কাজ করা হয় এবং অফ লাইনেও কাজ করা হয়।
আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে
আমরা অনেকেই এ বিষয়টি জানিনা যে আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এ কে ছিলেন আধুনিক মার্কেটিং এর জনক। আধুনিক মার্কেটিং এর জনক ছিলেন ফিলিপ কোটলার। তার জন্ম তারিখ ছিল ১৯৩১ সালের,২৭মে। ড. ফিলিপ কোটলার বিপণন বিশেষজ্ঞ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন। ফিলিপ কোটলার তার জীবনে ৪০টিরও বেশি বই লিখেছিলেন।তার মধ্যে কয়েকটি বইয়ের নাম হল:কোটলার অন মার্কেটিং মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট প্রিন্সিপালস অফ মার্কেটিং মার্কেটিং প্লেস ইত্যাদি। ড. ফিলিপ কোটলার ১৯৬২ সালে মার্কেটিং সম্পর্কে শেখানো শুরু করেছিলেন।
উপসংহার
আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে আমার আর্টিকেলটি পড়ে জেনেছেন আধুনিক মার্কেটিং এর জনক কে।ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া খুবই কষ্টকর তবে যখন একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া যায় তখন কোন কিছুই মনে হয় না।আমি বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে বলতে চাই যে,আজকের আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন,পরিবারের সাথে আমার আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া মানে নিজের জীবন ও ক্যারিয়ারকে গড়ে তোলা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url