শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় জানেন কী
শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় এ বিষয়টি অনেকেই জানতে চান এবং অনেক জায়গাতে
খোঁজাখুঁজি করেছেন অথচ কোন সঠিক তথ্য পাননি। তাই আমি আজকে আমার আর্টিকেলটিতে এ
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব পুষ্টিকর খাবারের অভাবে কি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
আশা করছি আমার আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে
পারবেন, যেগুলো আপনাদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
পুষ্টিকর খাবারের অভাবে কি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়
পুষ্টিকর খাবারের অভাবে কি ধরনের সমস্যা দেখা যায় তা জানা আমাদের প্রত্যেকের
অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যাই খাবার খাই তা থেকে আমাদের দেহে
পুষ্টি সঞ্চালন হয়। আমরা জানি খাদ্যের প্রধান পুষ্টির উপাদান হলো ছয়টি। সেগুলো
হলো আমিষ বা প্রোটিন, শর্করা, ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণ, স্নেহজাতীয় খাদ্য
(চর্বি), খনিজ লবণ ও পানি।
শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় এটি জানার আগে
আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন যে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে কি ধরনের রোগ দেখা দেয়।আমরা যদি সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান গ্রহণ না করি তাহলে সেটি আমাদের দেহের
স্বাভাবিক বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা ধরনের দৈহিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। তাহলে
বুঝতেই পারছেন সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করা কতটা জরুরি হতে পারে।
আরো পড়ুন: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়
পুষ্টিকর খাবারের অভাবে আমাদের মাঝে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন:
অ্যানিমিয়া অথবা রক্তশূন্যতা, বেরিবেরি রোগ, রিকেটস, গয়টার বা গলগন্ড, রাতকানা
ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু পুষ্টির অভাব জনিত কারণে মানসিক স্বাস্থ্য এবং
মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। উপরোক্ত রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো:
গয়টার বা গলগন্ড: প্রচলিত অর্থে গলগন্ড বা গয়টার বলতে থাইরয়েড
গ্রন্থির যেকোনো ফোলা কে বোঝায়। গলগন্ডের কিছু বিশেষ ধরনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে
গয়টার নামে ডাকা হয়। অর্থাৎ সব গলগন্ডই গয়টার নয়। গলগন্ড রোগকে কিছু কিছু
এলাকায় ঘ্যাগ বলা হয়ে থাকে। আমাদের গলা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়াই গলগন্ড
রোগ। এই রোগটি সাধারণত উত্তরবঙ্গ এবং পার্বত্য এলাকায় দেখা যায়।
কারণ: সকল রোগেরই কোন না কোন কারণ থেকে থাকে। গয়টার বা গলগন্ড রোগের ও
কারণ রয়েছে। কয়টার বা গলগন্ড রোগের প্রধান কারণ হলো আয়োডিনের অভাব।
আয়োডিনের অভাব দেখা দিলে গলায় থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ
করতে অসুবিধা হয়। ফলে থাইরয়েড গ্রন্থটি ফুলে যায়।
প্রতিরোধ: গলগন্ড রোগের প্রতিরোধে আমাদের আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো
খেতে হবে। আয়োডিনযুক্ত খাবার লবণ গ্রহণ করতে হবে। আমরা যে সকল খাবারে লবণ
ব্যবহার করি সেগুলোতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করতে হবে। সামুদ্রিক
শৈবাল, সামুদ্রিক মাছ, ভুট্টা, স্ট্রবেরি, কলা, সেদ্ধ ডিম, দুধ, টুনা মাছ,
চিংড়ি মাছ ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া : আমাদের দেশে শিশু ও নারীদের ক্ষেত্রে
রক্তস্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা একটি সাধারণ রোগ। একে এনিমিয়া রোগও বলা হয়।
রক্তশূন্যতা হচ্ছে দেহের এমন একটি অবস্থা বা রোগ যখন বয়স এবং লিঙ্গ ভেদে রক্তে
হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। খাদ্যের মুখ্য উপাদান লৌহ,
ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২ ইত্যাদির অভাব ঘটলে এ রোগ দেখা যায়।
কারণ: রক্তস্বল্পতার শতাধিক কারণ রয়েছে। তবে আমাদের দেশে সাধারণত লৌহের
ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতা বেশি হয়। লৌহের ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতা বা
রক্তশূন্যতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন: অত্যাধিক রক্তপাত ঘটলে, কৃমির
আক্রমণে বাড়ন্ত শিশুর গর্ভবতী নারীদের খাদ্যে লৌহের পরিমাণ কম থাকলে, কম বয়সী
শিশুদের খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ লৌহের অভাব হলে ইত্যাদি।
প্রতিরোধ: রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য আমাদেরকে লৌহ
সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন: যকৃত, মাংস, ডিম, চিনা, বাদাম, শাকসবজি, বরবটি,
মসুর ডাল, খেজুরের গুড় ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান রয়েছে। প্রয়োজন
হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী লৌহ উপাদান যুক্ত ঔষধ সেবন করে এই রোগ প্রতিরোধ
করা সম্ভব। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রক্তস্বল্পতার চিকিৎসা করা বিপজ্জনক হতে
পারে।
রাতকানা বা (Night Blindness): ভিটামিন এ এর অভাবজনিত কারণে আমাদের চোখ
ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জোরোফথ্যালমিয়া নামক রোগ সৃষ্টি হয়। এই রোগকে রাতকানা রোগ
বলা হয়। এর অভাব পূরণ না হলে রক্তের মাত্রা ও তীব্রতা বাড়তে থাকে।
কারণ: ভিটামিন এ এর অভাবের সাধারণ রাতকানা রোগটি দেখা যায়। এছাড়াও
বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের অভাবে রাত করা বা নাইট ব্লাইন্ডস রোগটি হয়ে থাকে।
লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা আলোতে ভালো দেখতে পায় না। চোখে সবকিছু
ঝাপসা দেখা যায়। রোগটা বেড়ে গেলে চোখের কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়। এই রোগটি
ভিটামিন এ সহ কিছু ঔষধ প্রয়োগে ভালো হয়। কিন্তু রোগ চূড়ান্ত মাত্রায় বা তার
কাছাকাছি পৌঁছে গেলে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
প্রতিরোধ: রাতকানা রোগ প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
অত্যন্ত প্রয়োজন। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন: মাছের যকৃতের তেল, কলিজা, সবুজ
শাকসবজি, রঙিন ফল এবং ছোট মাছ (যেমন: মলা, ঠেলা) ইত্যাদি খেতে হবে।
আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
রিকেটস (Rekets): রিকেটস রোগটি কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজ জনিত রোগ
নয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে এই রোগটি আমাদের দেহে আক্রান্ত হয়। অন্ত্রে
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ দাঁত ও হাড় গঠন প্রভৃতি শারীরবৃত্তীয় কাজে ভিটামিন
ডি এর প্রয়োজন হয়। এই রোগটি ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। যে সকল
এলাকা গুলোতে আলো কম পৌঁছায়, সে সকল এলাকায় রিকেটস রোগ বেশি দেখা যায়।
কারণ: রিকেটস রোগের বিশেষ কয়েকটি কারণ লক্ষ্য করা যায়। নিয়মিতভাবে
সারা শরীর সারাদিন কালো বা কালো রঙের কাপড়ের ঢেকে রাখলে কিংবা দীর্ঘদিন ধরে
ঘরের বাইরে না বের হলে ত্বক পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় না। তাই আমাদের শরীরে
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আর ভিটামিন ডি এর অভাব হলেই রিকেটস রোগ
দেখা দেয়।
প্রতিরোধ: রিকেটস রোগ প্রতিরোধ করতে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
উচিত। যেমন; দুধ, মাখন, ডিম, কড লিভার তেল ও হাঙ্গরের তেলে প্রচুর ভিটামিন ডি
পাওয়া যায়। এছাড়াও সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।
প্রতিদিন কতটুকু পুষ্টি খাবার খাওয়া উচিত?
প্রতিদিন কতটুকু পুষ্টি খাবার খাওয়া উচিত এই বিষয়ে অনেকেই জানেন না। তাই আমি
আমার আর্টিকেলটিতে শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় সম্পর্কিত উক্ত
বিষয়টি উল্লেখ করেছি। দৈনিক কতটুকু পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে এই বিষয়টি বলা
কঠিন। তবে সবার জন্যই পুষ্টি গ্রহণের পরিমাণ আলাদা হয়ে থাকে।
বয়স, লিঙ্গ
শারীরিক শ্রম এবং দেহের ওজনের ওপর নির্ভর করে যে দৈনিক কি পরিমাণ আমাদেরকে
পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে হবে। সুস্থ সবল থাকতে হলে আমাদেরকে প্রতিদিন সকল
ধরনের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।আমরা যদি সঠিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে চাই তাহলে প্রতিদিন সঠিক সুষম
খাদ্য খাওয়া অবশ্যই জরুরি।
সেই জন্য আমাদের জন্য রাখতে প্রতিদিন কোন খাবার কত
ক্যালরি করে খেতে হবে। এই বিষয়ের নিচে একটি তালিকা তৈরি করা হলো। প্রতিদিন
সঠিক পুষ্টিক গ্রহণের জন্য উল্লেখিত তালিকার সকল পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ও নারীকে
অনুসরণ করতে হবে। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে তালিকাটির উপাদান গুলো একটু
বাড়িয়ে খেতে হবে এবং কিশোর ছেলে মেয়েদের বয়স অনুযায়ী খাবারের উপাদান গুলো
কম খেলেও চলবে।
পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে:
খাদ্যশস্য | পরিশ্রমহীন(গ্রাম) | পরিশ্রমী(গ্রাম) |
---|---|---|
শিম/বরবটি | ২০ | ৩০ |
ডিম/মাছ/মাংস | ৩০ | ৩০ |
শাক | ৪০ | ৪০ |
অন্যান্য সবজি | ৬০ | ৮০ |
আলু | ৫০ | ৮০ |
দুধ | ১৫০ | ২৫০ |
তেল/চর্বি | ৪৫ | ৭০ |
ডিম | ১ টি | ১ টি |
চিনি/গুড় | ৩০ | ৫৫ |
পূর্ণবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে:
খাদ্যশস্য | পরিশ্রমহীন(গ্রাম) | পরিশ্রমী(গ্রাম) |
---|---|---|
শিম/বরবটি | ২০ | ২৫ |
ডিম/মাছ/মাংস | ৩০ | ৩০ |
শাক | ১০০ | ১৫০ |
অন্যান্য সবজি | ৪০ | ১০০ |
আলু | ৫০ | ৬০ |
দুধ | ১০০ | ২০০ |
তেল/চর্বি | ২৫ | ৪৫ |
ডিম | ১ টি | ১ টি |
চিনি/গুড় | ২০ | ৪০ |
শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় জানেন কী
শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় এই বিষয়টি প্রত্যেক বাবা-মাকে জানা খুবই
প্রয়োজন। যাতে করে শিশুর বাবা-মা সঠিক পুষ্টি প্রদান করতে পারে। আমাদের
দেশের প্রায় বেশিরভাগ মা ও শিশু পুষ্টির অভাবে ভুগছেন। এতে সবচেয়ে বেশি
ক্ষতি হচ্ছে নবজাতক শিশুদের। তাই আমাদের সকলকে শিশুদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ
করতে হবে এবং এটিও জেনে রাখতে হবে শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি আমরা জানি
পুষ্টির অভাবজনিত কারণে আমাদের দৈহিক নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: HTML (মার্কআপ) ও CSS (প্রোগ্রামিং) ল্যাঙ্গুয়েজ
আর যদি সেটি
শিশুদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তো কথাই নেই। দেশের বেশিরভাগ শিশুই পুষ্টির অভাবে
ভুগছে। অনেক শিশু পুষ্টির অভাবজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাও
যাচ্ছে। তাই আমাদের শিশুদেরকে সঠিক পুষ্টির যোগান দিতে হবে। পুষ্টির অভাবজনিত
কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ শিশুদেরকে আক্রমণ করে। পুষ্টির অভাবে শিশুদের শরীরে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম থাকে।
পুষ্টির অভাবে শিশুরা অটিজম রোগে আক্রান্ত হতে
পারে। যাকে বলা হয় অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধকতা। এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা মানসিক
এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। যেমন: বোবা, চোখ টেরা। এছাড়াও পুষ্টির অভাবে শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে থাকে। পুষ্টির অভাবে শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি বাধা সৃষ্টি হয় এবং
দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এছাড়াও শিশুদের ওজন সঠিক ওজন হয়ে ওঠে না। অর্থাৎ
দৈহিক ওজন ও বাধা গ্রস্থ হয়ে পড়ে।
শিশুদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের
সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। জন্মের পর শিশুদেরকে মায়ের বুকের দুধ
খাওয়াতে হবে। এটি শিশুদের জন্য পুষ্টির প্রধান উৎস। শাকসবজি, ফলমূলের পাশাপাশি
দুধ, ডিম, মাছ প্রায় সকল ধরনের পুষ্টিকর খাবার শিশুকে দেওয়া অত্যন্ত
প্রয়োজন।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কেন প্রয়োজন?
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কেন প্রয়োজন এই প্রশ্নটি প্রায় সবার মনেই জাগে। তবে
কেউ এর উত্তর জানে আবার কেউ জানে না। পুষ্টিকর খাবার বলতে যে সকল খাবার গুলো
আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, যে সকল খাবার গুলো আমাদের দেহে পুষ্টি
উপাদান সরবরাহ করে এবং আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে সেগুলোকে বোঝায়। সঠিক
পরিমাণে পুষ্টি উপাদান গ্রহণের দিকে আমাদের সকলেরই নজর দেওয়া উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ প্রশ্নের অভাবে
আমাদের দেহে বিভিন্ন রোগ আক্রমণ করে, শিশুদের সঠিক পরিমাণে পুষ্টির যোগান না
দিলে প্রাপ্ত বয়সে সেটি বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে, পুষ্টিহীনতার কারণে
মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আমাদের দেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই পুষ্টিহীনতায়
ভোগেন। এর বিশেষ কারণ হলো দারিদ্রতা ও অসচেতনতা। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে
পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণও বাড়াতে হয়।
আজকাল আমাদের দেশে পুষ্টিহীনতার সমস্যা প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। এর আগে আমি
আর্টিকেলটিতে শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।
এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে:
- পুষ্টিকর খাবার আমাদের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
- পুষ্টির অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে যে পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের দেহে জমা হয় তা আমাদের শরীরের কর্মক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলে।
- পুষ্টিকর খাবার আমাদের স্বাস্থ্যকে সুস্বাস্থ্য গড়ে তোলে।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি পাঠাবো হয় না।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ফলে নারীদের গর্ভধারণের সময় যে কোন ধরনের সমস্যা কম হয়।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
আমাদের সকলেরই উচিত সঠিক পরিমাণ পুষ্টি গ্রহণ করা। পুষ্টি আমাদের দেহের জন্য
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। পুষ্টির অভাবজনিত কারণে আমরা বিভিন্ন রোগে
আক্রান্ত হতে পারি। তাই আমাদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা সঠিক পরিমাণ
পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করছি কিনা। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে বিভিন্ন টপিক
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনারা শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় এ বিষয়টি
সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন এবং কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। আমার আর্টিকেলটি
আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে
শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও পুষ্টি সংক্রান্ত সঠিক তথ্য আমার এই আর্টিকেলটি
থেকে পেতে পারে এবং তারাও কিছুটা উপকৃত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url