ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

আপনারা অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন, একজন মানুষ এর ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে? আজকে আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়াও আমি আলোচনা করব ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। 
আমার আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আপনাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আমার আর্টিকেলটি আপনারা সকলেই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করার চেষ্টা করবেন। তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

সকল রোগই আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত খারাপ এবং মারাত্মক হয়ে থাকে। এর মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার অত্যন্ত ভয়ংকর একটি রোগ। ব্লাড ক্যান্সার হল এক ধরনের মরণব্যাধি। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বেঁচে থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তবে যদি এই রোগ আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে রোগীকে সুচিকিৎসা প্রদান করা হয়। তাহলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

ব্লাড ক্যান্সারের হাত থেকে কিভাবে বাঁচা যায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। তাই আমি আমার ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লাড ক্যান্সার রোগটি থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। একটি গবেষণায় জানা গেছে আমাদের দেশে প্রতিবছর ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার মানুষ ব্লাড ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। 

তাই আমাদেরকে এই রোগটি থেকে কিভাবে বেঁচে থাকা যায় বা প্রতিরোধ করতে হয় সেটি জেনে রাখতে হবে। প্রথমেই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলে আমাদের শরীর রোগাক্রান্ত কম হয়। এর জন্য আমাদেরকে সবসময় স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি আমাদেরকে প্রতিদিন এক্সারসাইজ বা শরীর চর্চা করতে হবে। 

ব্লাড ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচতে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল রাখা অবশ্যই জরুরি। ব্লাড ক্যান্সার রোগটির হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই আমাদের শরীরের ওজন কমাতে হবে। অতিরিক্ত ওজন এর কারণে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের রোগ বাসা বাধে। 

তাই আমাদের ওজনকে সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বছরে কয়েকবার আমাদের সম্পূর্ণ শরীরের চেকআপ করতে হবে। এর ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার রোগটি ধরা পড়লে প্রাথমিক পর্যায়েই সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগটির হাত থেকে বাঁচতে পারব। আমাদের লাইফ স্টাইল সঠিকভাবে মেইনটেইন করতে হবে। আমরা অনেকেই সঠিক সময় খাওয়া-দাওয়া করি না, 

সঠিক সময় ঘুমািই না, সঠিক সময়ে গোসল করি না। এই যে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা এর কারণেও আমাদের শরীরে ক্যান্সার কোষের সৃষ্টি হতে পারে।

ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা

ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি গ্রহণ ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দেয়। এর জন্য আমাদের খেয়াল রাখতে হবে রোগীর যেন কোনো রকম পুষ্টির ঘাটতি না থাকে। রোগীর শরীরে যেন ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় থাকে। যেকোনো রোগ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে সঠিক খাবার তালিকা। চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদেরকে ক্যান্সার রোগীদের নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চলুন তাহলে ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নেই।

যা খেতে হবে যা খাওয়া যাবে না
ফলিক এসিড বা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন: টক দই, ছানা, ডিম, ছোলা ইত্যাদি।এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি, ডুমুর, টমেটো, বাধাকপি। বিভিন্ন ধরণের ফল যেমন: আমলকি, হরিতকি, বাতাবি লেবু, লেবু, ডাব ইত্যাদি। এছাড়াও তরল জাতীয় খাবার যেমন: ভাতের মাড়, স্যুপ, ফলের রস। পরিমিত পরিমাণে মাছ, মাংস খেতে হবে। গ্রিন টি, রসুনের কোয়াও খাওয়া যেতে পারে। সাদা চিনি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার।এছাড়াও তৈলাক্ত খাবার, ধূমপান, জর্দা, মদ্যপান, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত যেকোনো খাবার।

কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয়

আমরা অনেকেই জানি যে আমাদের শরীরের কোষ বিভাজনের ফলে আমাদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পায়। তবে কখনো কখনো আমাদের দেহের কোষ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়। যার ফলে সেখান থেকে ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হয় এবং আমাদের শরীরে ক্যান্সার রোগটি আক্রান্ত হয়। এই রোগটি আক্রান্ত হওয়ার একটি বিশেষ কারণ হতে পারে ভুল খাদ্যাভ্যাস। 

সঠিক খাদ্য গ্রহণের অভাবে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিনিয়ত বাসা বাঁধছে। মরণব্যধি ক্যান্সার আমাদেরকে ছাড় দেয় না। তাই আমাদেরকে ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে একজন মানুষ এটি জানার পাশাপাশি কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় এই সম্পর্কে ধারণা রাখাও প্রয়োজন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। 

আজকাল প্রায় সকল খাবারেই রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা গ্রহণের ফলে দেহে ক্যান্সারের কোষ খুব সহজেই তৈরি হতে পারে। প্রসেসড ফুড বা মিট, ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেট জাত খাবার, পরিশোধিত খাবার, অ্যালকোহল, তামাক, সিগারেট, জর্দা সেবন, বাহিরের তৈরি আচার, ফাস্টফুড, চাষকৃত মাছ ইত্যাদি খাবার আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

মিষ্টি জাতীয় খাবার বা চিনি যুক্ত খাবার: আমরা প্রায় সবাই জানি যে যেকোনো ধরনের মিষ্টি বা যিনি যুক্ত খাবার আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর। নানা রোগের কারণ হয়ে থাকে এই জাতীয় খাবার গুলো। কোন ডায়াবেটিস রোগী যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই মিষ্টি জাতীয় খাবার খায়। তবে তার শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যার ফলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর সেই চিনি যুক্ত খাবার যদি সাদা চিনি দিয়ে তৈরি হয় তাহলে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধির সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যায়। আজকাল আমরা যে চিনি বিভিন্ন খাবারের ব্যবহার করে থাকি তা কলকারখানায় রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়ে থাকে বা পরিশোধিত করা হয়। তাই এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর একটি খাবার উপাদান।

প্রসেসড খাবার: প্রসেসড খাবার বলতে যেগুলো খাবারে অনেকদিন ধরে সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলোকে বোঝায়। যেমন: প্যাকেজিং মাছ, প্যাকেজিং মাংস, প্যাকেজিং সবজি ইত্যাদি যে কোন খাবার হতে পারে। আবার আমরা অনেকেই ধুয়ার তৈরি খাবার খেয়ে থাকি যেমন স্মোকড মিট এতে ধোয়াতে যে সকল বিষাক্ত পদার্থ থাকে সেগুলো খাবারের সাথে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার কোর্স সৃষ্টি হয়।

ভাজাপোড়া: আমরা অনেকেই ভাজা পড়া জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করি। তবে আমরা কি জানি এই খাবারগুলো তৈরি করতে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় এবং মূল কথা হলো অস্বাস্থ্যকর ভোজ্য তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা আমাদের দেহে ক্যান্সার কোষকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার গ্রহণের ফলে নানান ধরনের রোগ সহ দেহের ওজনও বৃদ্ধি পায়।

প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত খাবার: অত্যধিক পরিমাণে কৃত্রিম রং রাসায়নিক দ্রব্য ও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরে গিয়ে বিভিন্ন বিক্রিয়া উৎপন্ন করে। ফলে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়। যার মাধ্যমে ক্যান্সার কোষের উৎপত্তি হয়।

ধূমপান তামাক সেবন: ধূমপান, মদ্যপান, সফট ড্রিংক, তামাক, জর্দা, অ্যালকোহল ইত্যাদি খাবার যেমন আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বিকল করে দেয় ঠিক তেমনি ক্যান্সারকে আমাদের দেহে জায়গা করে দেয় এই সকল খাবার।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

যে কোন ব্যক্তির শরীরে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়লে প্রথমেই বেঁচে থাকা নিয়ে প্রশ্ন আসে। আমরা সবাই জানি যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারেনা। তাই রোগী অথবা রোগীকে ট্রিটমেন্ট করায় এমন আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসকের কাছে প্রায় বেশিরভাগই প্রশ্নটি করেন যে, ক্যান্সার হলে মানুষ কত দিন বেঁচে থাকে অথবা ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে একজন মানুষ। 
জন্ম হোক বা মৃত্যু সব কিছুই আমাদের সৃষ্টি কর্তা নিয়ন্ত্রণ করেন। আল্লাহতাআলা আমাদের কাকে কখন কিভাবে মৃত্যু দিবেন সেটা শুধুমাত্র তিনিই জানেন। অনেক সময় চিকিৎসকরা বলে থাকেন ব্লাড ক্যান্সার রোগীর আর বাঁচার উপায় নেই। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী অনেক দিন বেঁচে থাকেন। আবার কখনো কখনো চিকিৎসকরা বলে থাকেন রোগীর অনেকদিন বাঁচা সম্ভাবনা রয়েছে। 

তবুও কিছু কিছু রোগী অল্প দিনেই মৃত্যুবরণ করে থাকেন। সকল ব্লাড ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর সময় কখনোই এক হয় না। আবার কখনোই বলা যায় না যে ব্লাড ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচবে। তবে এই বিষয়টি একটি বিষ নির্ভর করে বলা যায় যদি ক্যান্সার রোগীদের দেহে অথবা রক্তে সম্পূর্ণভাবে ক্যান্সার এর কোষ ছড়িয়ে পড়ে আর যদি তাকে কেমোথেরাপি, 

রেডিওথেরাপি এবং সু চিকিৎসা প্রদান না করা হয় তাহলে সেই রোগীর মৃত্যু খুবই সন্নিকটে আর যাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষ কিছুটা পরিমাণে ছড়িয়েছে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করছে তাদের ক্ষেত্রে বেশিদিন বাঁচার আশা অনেকটাই রয়েছে।

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ সমূহ

একজন মানুষের ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানাও অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা জানি ক্যান্সার অত্যন্ত কঠিন একটি রোগ। যেকোন ব্যক্তির শরীরে এই ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হয়ে রোগী মারা যেতে পারে। কারো শরীরে একবার এই রোগের উৎপত্তি হয়ে খারাপ পর্যায়ে গেলে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা অনেক কষ্টকর হয়ে ওঠে। 

সকল রোগের মতোই ক্যান্সার রোগেরও কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। তবে এই লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো আমাদের মাঝে প্রকাশ পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপণ্য হতে হবে। ক্যান্সার রোগের লক্ষণ প্রকাশের পরও আমরা যদি লুকিয়ে বসে থাকি তাহলে মৃত্যু অবধারিত হয়ে যাবে। কারণ ক্যান্সার এমন একটি রোগ যেখানে থেকে শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তিই ফিরে আসে। 
খাবার গ্রহণের প্রতি অনিহা বা অরুচি ভাব, খাবারের গন্ধে বমি বমি ভাব আসা, ঘন ঘন জ্বর হওয়া, শারীরিক ওজন কমে যাওয়া, রক্তপাত বা রক্তক্ষরণ, প্রচুর কাশি হওয়া, গলার আওয়াজ এর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, গলায় ব্যথা সৃষ্টি হওয়া, আঁচিল থেকে রক্তপাত, চুলের অধিক বৃদ্ধি, মুখে ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি, শরীরে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ ক্যান্সার রোগীদের দেখা দিবে। বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো:

ওজন হ্রাস: সাধারণত আমাদের ওজন কিছু কিছু কারণে কমে যেতে পারে। তবে আমরা কি জানি আমাদের শরীরে ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির ফলেও হঠাৎ করে অনেকটা শারীরিক ওজন হ্রাস পাবে। এই বিষয়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্নাশয় ইত্যাদিতে ক্যান্সারের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়টি কখনোই এড়িয়ে চলা যাবেনা।

গলার সমস্যা: গলায় ক্যান্সার কোর্স থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে যেমন যে কোন খাবার গিলতে গেলে ব্যথা হওয়া গলায় বাধা সৃষ্টি হয় কথা বলার সময় ঘর ঘর আওয়াজ হয় কণ্ঠনালী দিয়ে আওয়াজ বের হয় না ইত্যাদি।

কাশি হওয়া: ক্যান্সার রোগীর হঠাৎ করে প্রচুর কাশতে শুরু করেন। কাশতে কাশতে এক পর্যায়ে গলা দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে রক্ত বের হয়।

চুলের অধিক বৃদ্ধি: আমাদের অনেকের চুলের প্রচুর বৃদ্ধি হয় যা আমরা প্রায় সবাই পছন্দ করি। কিন্তু চুলের অত্যাধিক বৃদ্ধিও ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এটি আমাদের জেনে রাখতে হবে। তাই যাদের চুলের বৃদ্ধি অনেক হয়ে থাকে তাদের অবশ্যই উচিত শরীরের চেকআপ করানো। যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় শরীরে ক্যান্সার কোষ রয়েছে কিনা।

রক্তপাত বা রক্তক্ষরণ: আমাদের শরীরে ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হলে অস্বাভাবিক রক্তপাত হয়। কখনো কাশি হলে কাশির সাথে রক্তপাত হয়। আবার কখনো মলত্যাগের সময় রক্তপাত হয়ে থাকে, মূত্রত্যাগের সময় রক্তপাত হতে পারে, দাঁতের মাড়ি থেকেও এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। কখনো কখনো আমাদের শরীরে যেই আঁচিল থাকে সেখান থেকেও রক্তপাত হয়।

মুখের ভেতর প্রদাহ: ক্যান্সার রোগ আক্রান্ত রোগীদের মুখের ভিতর বিভিন্ন প্রদাহ দেখা দিতে পারে।  জিহ্বাতে ঘা সৃষ্টি হতে পারে। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া সহ, মুখ গহ্বরে ক্ষত বা ঘা সৃষ্টি হতে পারে।

ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

ক্যান্সার রোগ আক্রান্ত হলে মৃত্যু অবধারিত হয়ে পড়ে। তবে হাতে গোনা কয়েকজন এই মরণব্যাধি থেকে বেঁচে ফিরে আসে। ক্যান্সার রোগটি আক্রান্ত হলে একরকম লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয়। আবার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে আরেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পেয়ে থাকে। যা থেকে আমরা বুঝতে পারব রোগীর মৃত্যু প্রায় আসন্ন। 

ক্যান্সার রোগের অবস্থা যখন একদম ক্রিটিকাল অবস্থায় অর্থাৎ শেষ পর্যায়ে চলে আসে তখন এই লক্ষণগুলো বা উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। আমাদের সকলেরই এই লক্ষণগুলো জেনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

সাধারণভাবে চলাফেরা করতে না পারা: যেকোনো রোগ ধরা পড়লেই রোগী খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। আর যদি সেটা ক্যান্সার হয় তাহলে প্রশ্নই ওঠে না। ক্যান্সার রোগী শুরুর পর্যায়ে চলাফেরা করতে পারলেও একদম শেষ পর্যায়ে এসে তা আর সম্ভব হয় না। রোগী ধীরে ধীরে নির্জীব হয়ে পড়ে। রোগী বিছানাগত হয়ে পড়ে।

খাবার খেতে না পারা: এই সময় রোগী কোন খাবারই মুখে দিতে পারে না। তবে তরল জাতীয় খাবার যেমন: স্যুপ, দুধ, ফলের রস ইত্যাদি কিছুটা ক্যান্সার রোগী খেতে পারে। সকল খাবারই গিলতে কষ্ট হয়। খাবারের অরুচি ভাব চলে আসে।

কথা বলতে না পারা: আমরা যেভাবে বাধাহীন ভাবে আমাদের মুখ থেকে আওয়াজ করে কথা বলতে পারি ক্যান্সার রোগীর শেষ মুহূর্তে তা আর সম্ভব হয় না। গলার মাংসপেশী ফুলে গিয়ে কন্ঠনালীতে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে গলায় প্রচন্ড ব্যথা সৃষ্টি হয়। কথা বলার শক্তি, শ্রবন শক্তি এবং দৃষ্টিশক্তি ও কমে আসে। কখনো রোগী জ্ঞান হারায়, কথা বলার সময় ঘরঘর আওয়াজ হয়, রোগীর স্পষ্ট কথা বলতে পারে না।

শক্তির অভাব বা দুর্বলতা: ক্যান্সারের কোষগুলো আমাদের দেহের অন্যান্য কোষকে ধ্বংস করে দেয়। এবং সারা শরীরে নিজের বিস্তার ঘটায়। আমাদের দেহের শক্তি উৎপাদনী কোষ, রোগ প্রতিরোধক কোষ, পুষ্টি সঞ্চয়কারী কোষ গুলো দুর্বল হওয়ায় শেষ পর্যায়ে এসে রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

ক্যান্সার রোগের কথা শুনলেই আমাদের সকলের ভিতর একটা ভয় চলে আসে। এটি এমনি একটি ভয়ঙ্কর রোগ যার থেকে রেহাই পাওয়া খুব কষ্টকর। ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে একজন মানুষ সেটা বলাও খুব কষ্টকর হয়ে থাকে। আজকে আমার আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে দয়া করে আপনাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। আশা করি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা সকলেই উপকৃত হয়েছেন এবং ক্যান্সার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url