মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আমাদের সকলেরই মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন আজকাল প্রায় বেশিরভাগ মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাই আজকে আমার আর্টিকেলটি উক্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের জন্য আলোচনা করব। এছাড়াও আমি আলোচনা করব ডায়াবেটিস রোগীর দৈনিক খাদ্য তালিকা সম্পর্কে।
আশা করছি আপনারা সকলেই আমার এই আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হবেন। আমার সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।

ডায়াবেটিস রোগীর দৈনিক খাদ্য তালিকা

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সব সময় একটি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট বা খাদ্য তালিকা অবলম্বন করা অবশ্যই জরুরি। একটি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট বা খাদ্য তালিকা ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীর দৈনিক খাদ্য তালিকা সম্পর্কে:

সময় খাদ্য দ্রব্য
সকাল ৬.০০-৬.৩০ টা ১ গ্লাস মেথি জল/লেবু পানি।
সকাল ৭.০০-৮.০০ টা ১ টা গমের আটার তৈরি রুটি/ ওটস, ১ গ্লাস ফ্যাট, ক্রিম এবং চিনি মুক্ত দুধ।
সকাল ৮.০০-৮.৩০ টা ১ কাপ সবজি/শাক, ১ টা ছোট ফল ( অতিরিক্ত মিষ্টি বা রসালো মুক্ত)।
দুপুর ১২.৩০-১.০ টা ১-২ টা রুটি/দেড় কাপ ভাত, সালাদ, সবজি তরকারি, মাছ।
বিকেল ৪.৩০-৫.৩০ টা চিনি মুক্ত (চা, বিস্কুট), মিষ্টি কম যুক্ত ১ টি ফল।
রাত ৮.০০-৯.৩০ টা ২ টি রুটি/১ কাপ ভাত, চর্বি ছাড়া ৬০ গ্রাম রান্না করা মাছ/মাংস।

ডায়বেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত?

মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত আমার আর্টিকেলটিতে ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক মাত্রা কত এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। কারণ দিন দিন পৃথিবীর সবার দেহেই এই রোগটি স্থান করে নিয়েছে। তাই এই রোগটি আমাদের সকলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাই এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমাদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন যে, ডায়াবেটিস এর স্বাভাবিক মাত্রা কত? 

আরও পড়ুন: রক্তের এলার্জি বা চুলকানির লক্ষণ সমূহ

ডায়াবেটিস রোগের স্বাভাবিক মাত্রা জানার ফলে আমরা এই রোগের ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব। আমরা ডায়াবেটিসের মাত্রা মাপার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করি। যেমন: গ্লুকোমিটার, হাসপাতালের ল্যাব, খাবার গ্রহণের পর। বিভিন্ন পদ্ধতিতে ডায়াবেটিসের স্বাভাবিক মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

ল্যাবে খাবার খাওয়ার পর: আমরা জানি, আমরা কোন কিছু খাওয়ার পরে আমাদের রক্তে সুগারের মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। কিন্তু খাবার খাওয়ার পর ডায়াবেটিস মাপলে যদি এর মাত্রা ৭.৮ পয়েন্টের উপরে থাকে তবে সেটিকে প্রি-ডায়াবেটিস হিসেবে ধরা হয়। (প্রি-ডায়াবেটিস হল রক্তে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি মাত্রা। তবে এটি ডায়াবেটিসের মাত্রা নয়) যদি সেই মাত্রাটি ১১.১ এর বেশি এর চেয়ে উপরে থাকে তাহলে সেটিকে ডায়াবেটিসের মাত্রা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ভালো চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

ল্যাবে খাবার খাওয়ার আগে: খালি পেটে আমরা যখন ডায়াবেটিসের মাত্রা চেক করি তখন সেই মাত্রাটি ৫.৫ এর কাছাকাছি থাকাই ভালো হয় এবং সেই মাত্রাটি ৬.১ থেকে ৬.৯ এর মধ্যে থাকলে সেটিকে প্রি-ডায়াবেটিস ধরা হয়। রক্তের সুগারের মাত্রা ৬.১ থেকে ৬.৯ চেয়ে বেশি হলে ডায়াবেটিসের মাত্রা ধরা হয়।

গ্লুকোমিটার: ডায়াবেটিস রোগীর হাতের আঙ্গুলের আগায় ফুটো বা ছিদ্র করে সেখান থেকে রক্ত নিয়ে ডায়াবেটিসের মাত্রা মাপার মেশিন কে গ্লুকোমিটার বলা হয়। এই মেশিনে ডায়াবেটিস এর মাত্রা খাবার গ্রহণের আগে ৪ থেকে ৬ এবং খাবার গ্রহণের পর যদি ৮ এর নিচে থাকে তাহলে সেটি স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয়।

মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার

মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের জেনে রাখতে হবে মধুমেহ রোগটি কি ধরনের রোগ। আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করব। মধুমেহ রোগ এর কয়েকটি নাম রয়েছে। সেগুলো হল বহুমূত্র, ডায়াবেটিস। বেশিরভাগ মানুষ এই রোগটিকে ডায়াবেটিস নামে চিনে থাকে। আমাদের শরীরে অগ্ন্যাশয় এর ভেতর এক ধরনের গ্রন্থি থাকে। যাকে বলা হয় আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস। 
এই গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি আমাদের দেহের শর্করা পরিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয় যদি প্রয়োজন মত ইনসুলিন তৈরি না হয় তবে রক্তের শর্করার পরিমাণ স্থায়ীভাবে বেড়ে যায় এবং প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে মধুমেহ বা বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস বলা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল টাইপ-১ এবং অন্যটি হল টাইপ-২। 

টাইপ-১ এ আক্রান্ত রোগীর দেহে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তাই এই রোগে আক্রান্ত রোগীর দেহে নিয়মিতভাবে ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুল প্রবেশ করানো হয় এবং অন্যদিকে টাইপ-২ রোগীর দেহে আংশিক ভাবে ইনসুলিন তৈরি হয়। অর্থাৎ যতটুকু ইনসুলিন আমাদের দেহে তৈরি হওয়া প্রয়োজন তার চেয়ে কম পরিমাণে তৈরি হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে ঔষধ সেবনই, অগ্নাশয় কোষে শরীরের জন্য পরিমিত ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। 

আরও পড়ুন: ১ মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসেও কোনো না কোনো পর্যায়ে ইনসুলিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। চলুন এই সব রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নে।ই রক্ত ও প্রস্রাবের গ্লুকোজেরমাত্রা পরিমাণের চেয়ে বেড়ে গেলে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। লক্ষণগুলো হলো: শরীর প্রচুর দুর্বল মনে হয়, রোগী চোখে কম দেখতে পায়, ত্বক বা চামড়া খসখসে ও রুক্ষর শুষ্ক হয়ে যায়, ক্ষুধা বেড়ে যায়, পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া সত্বেও দেহের ওজন কমতে থাকে, প্রচুর পরিমাণে পানি পিপাসা লাগে। এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো: ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, এবং শরীরের কোন স্থানে ক্ষত হলে সেটি সহজেই শুকায় না ইত্যাদি।

মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগের কারণ: প্রতিটি রোগেরই কারণ থাকে। মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগের ও কারণ রয়েছে। সেগুলো হল আমরা অনেকেই দৈহিক বা শারীরিক পরিশ্রম করতে চাই না। দৈহিক বা শারীরিক পরিশ্রম না করলে আমাদের ডায়াবেটিস রোগটি আক্রমণ করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন: দিনের বেশিরভাগ সময় বসে কাজ করা অথবা অলস জীবন যাপন করা। যারা এরকম জীবন যাপন গড়ে তোলেন তাদের অসংখ্য সবচেয়ে বেশি থাকে। 

তাছাড়া অতিরিক্ত শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা ও বেড়ে যায় মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগটি সংক্রামক রোগ নয়। এ রোগটি সাধারণত বংশগতি বা পরিবেশের প্রভাবে হয়ে থাকে যেহেতু এই রোগটি বংশগতির কারণে হয়। তাই কোন ব্যক্তির বাবা-মা দাদা-দাদীর এর রোগ থাকলে মধুমেহ রোগ হওয়ার আশঙ্কা খুবই বেশি থাকে।

মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগের প্রতিকার: ডায়াবেটিস প্রতিকার করা কখনো সম্ভব নয়। তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। টাইপ-১ এ আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই ইনজেকশন এর মাধ্যমে ইনসুলিন প্রদানের ফলে এই রোগটি কিছুটা প্রতিকার করা সম্ভব এবং টাইপ-২ এ আক্রান্ত রোগীকে সঠিক চিকিৎসা, সঠিক খাদ্য অভ্যাস, কিছু ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলার মাধ্যমে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগ প্রতিকার করা সম্ভব তবে। এটি চিরতরে কখনোই প্রতিকার হবে না।

ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়

ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই বিষয়ে সঠিক তথ্য সবাই পেতে চায়। তাই আমি এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করব। এর আগে আমি মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওষুধ ছাড়াই যেভাবে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চিকিৎসকদের মতে ডায়াবেটিস রোগ চিরতরে নিরাময় করা যায় না। কিন্তু এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ঔষধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা কোন কঠিন কাজ নয়। 
সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং প্রতিদিনের শরীরচর্চা বা ব্যায়াম আমাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমাদেরকে প্রতিদিনের খাবার তালিকা সঠিক খাবার তালিকায় গড়ে তুলতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাবারের তালিকা ভিন্ন হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিদিন সব ধরনের খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খুবই কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। 

আরও পড়ুন: শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় 

যেমন: চিনি বা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার, কাঁচা লবণ অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি যুক্ত খাবার। এই সকল খাবারই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর আসে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম। প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রতিদিন শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা আবশ্যক। শরীরচর্চা বা ব্যায়াম আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং রোগমুক্ত করে তোলে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ও কিছু ব্যায়াম বা শরীরচর্চা গড়ে তোলা উচিত। প্রতিদিন 30 থেকে 60 মিনিট করে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চা করা যেতে পারে। যেমন: হাটাহাটি করা।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

প্রায় সকল চিকিৎসই ডায়াবেটিস রোগীদের রোগটি নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনটি "D" মেনে চলার কথা বলেন তিনটি "D" এর মানে হল: Discipline (শৃঙ্খলা), Diet (খাদ্য নিয়ন্ত্রণ), Dose (ঔষধ সেবন) দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই তিনটি নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে তিনটি ডি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

Discipline (শৃঙ্খলা): সকলের জীবনেই Discipline বা (শৃঙ্খলা) থাকাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃংখল জীবন ব্যবস্থাই সর্বোত্তম ঔষ।ধ এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করা, রোগীর দেহের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া, নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা এবং দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

Diet (খাদ্য নিয়ন্ত্রণ): ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায় হল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। ডাক্তারের পরামর্শের মধ্যে পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করাটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এবং সময় মতো খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। ডাক্তার-পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু অনুসরণ করলে খুব দ্রুতই ডায়াবেটিস রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Dose (ঔষধ সেবন): একজন ডাইবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। ডাক্তার রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে ওষুধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। সে পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠিকমতো চিকিৎসা করা হলো রোগীর রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে বা বেড়েও যেতে পারে। এতে রোগের মৃত্যু ঘটতে পারে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

সকল রোগী আমাদের জন্য অভিশাপ স্বরূপ হয়ে থাকে। তেমনি একটি রোগ হল মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগ। এই রোগটি আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। ডায়াবেটিস রোগের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম অথবা বেশি হলে রোগী মারাও যেতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা উচিত এবং এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার পদ্ধতিও জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। 

আমার মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে বলে আমি মনে করি। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রণ সহ আরো অনেক বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে কিছুটা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url