কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কি
আপনারা হয়তোবা অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় জানতে চান, কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই সম্পর্কে আপনাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করব। উক্ত বিষয়টি ছাড়াও লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে কি?
এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা সকলেই আমার আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এর মাধ্যমে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশা করি আপনারা সকলেই আমার আর্টিকেলটি পড়ে কিছুটা উপকৃত হবেন।
লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে কি
যেকোনো ধরনের লেবুতে সাইট্রিক এসিড এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যেমন: কমলা লেবু পাতি লেবু বাতাবি লে,বু কাগজি লেবু। এই সকল ফলকে সাইট্রাস ফল বলা হয়। লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিডকে ফ্যাট বার্নার বলা হয়। সাইট্রিক এসিড অবশ্যই আমাদের চর্বি বা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমরা লেবুর রস বা লেবু তো খেয়েই থাকি। তবুও একটা বিষয় জানি না যে, এর মধ্যে থাকা সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে
যারা দৈহিক ওজন বা মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য বলি এখন থেকে লেবুর রস বা সেবন করার সাইট্রিক এসিড খাওয়া শুরু করতে পারেন। ওজন কমানো ছাড়াও সাইট্রিক এসিড আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাইটিক এসিড খাবারের সাথে গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এই সাইট্রিক এসিডটি রাসায়নিকভাবে বিভিন্ন কারখানায় তৈরি করা যায়। খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি জীবাণুনাশক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী বিবেচিত করা হয়।
সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার নিয়ম
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমাদের অবশ্যই সকালে খালি পেটে লেবু গরম পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর সাথে লেবুর রস খাওয়াটা একটি জাতীয় ড্রিংকে পরিণত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যদি কুসুম গরম পানির সাথে সকালে খালি পেটে লেবুর রস মিশিয়ে খাই তবে এর মাধ্যমে আমরা প্রচুর বেনিফিট পাব।
আরো পরুন: বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত
যেমন: আমাদের বাড়ির মেটাবলিজম অনেক সক্রিয় হবে, প্রচুর পরিমাণে শারীরিক শক্তি বা এনার্জি পাওয়া যাবে। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি এবং মধুতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুটো উপাদান একসাথে হয়ে একটি এনার্জিটিক ড্রিংক তৈরি হয়। যে কোন খাবার খাওয়ারই কোন না কোন নিয়ম থাকে। আমরা আমাদের দেহের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য লেবু খেয়ে থাকি তবে। লেবুকে কিভাবে খাওয়া উচিত,
কিভাবে খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় সেটা আমাদের জানতে হবে। কুসুম গরম পানির সাথে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের কিছুটা এক্সারসাইজ বা শরীর চর্চা ও হাটাহাটি করা উচিত। তারপর আমরা লেবু ও মধুর পানীয়টি খেতে পারি। এই পানিওটি তৈরি করতে একটি মাঝারি মাপের লেবু নিতে হবে। তারপর এটিকে রাউন্ড স্লাইস বা পাতলা ও গোল করে কেটে নিতে হবে।
এরপর একটি গ্লাসে সেই লেবুর ২ থেকে ৩ টি স্লাইস নিতে হবে। তারপর সেই গ্লাসে কুসুম গরম পানি ঢেলে দিতে হবে। এর সাথে এক চা চামচ মধু যুক্ত করতে হবে। মাত্রার অতিরিক্ত খাওয়া একেবারেই যাবে না। এই পানীয়টি সকালে পান করাই ভালো। তবে যাদের খালি পেটে এই পানীয়টি খেলে বিভিন্ন সমস্যা হয় তারা দিনের যেকোনো সময় খেতে পারবে। কিন্তু যাদের শরীরে একেবারেই খাপ খায় না তাদের এটি এড়িয়ে চলতে হবে।
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা জানার আগে প্রথমে চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবুর উপকারিতা সমূহ সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানি লেবু আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কতটা উপকারী একটি ফল। লেবু আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে পারে। ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের দেহের নানা ধরনের রোগ আক্রান্ত হয়। লেবু খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব দূর হয় বা ঘাটতি পূরণ হয়।
আর বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। লেবু আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। যা গরম কালে আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। আবার লেবু আমাদের পেটের খাবার হজম বা পরিপাক করতে অত্যন্ত দ্রুত কাজ করে। লেবু আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিও সরবরাহ করে থাকে। যেমন: ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি।
লেবু আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে, ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহকে দূর করে। বিশেষ করে কিডনি রোগীদের জন্য লেবু খুবই উপকারী হয়ে থাকে। নিয়মিত লেবুর রস সেবনের ফলে কিডনিতে থাকা পাথর গলে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। লেবু আমাদের দৈহিক অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে থাকে। লেবুর রস সেবন করলে অথবা লেবু পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
আরো পড়ুন: হঠাৎ মন খারাপ হলে কি কি করবেন
তবে আমরা কি জানি, কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা কি কি পাওয়া যায়? চলুন তাহলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমরা যদি সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানির সাথে মধু এবং লেবুর রস খাই তাহলে আমাদের দেহে অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারব। বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
ওজন কমাতে: লেবুর সবচেয়ে ভালো এবং সর্বপ্রথম গুণ হলো এটি আমাদের অতিরিক্ত মেদ বা ওজন কে খুব দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে। লেবু এবং মধু কুসুম গরম পানির সাথে সকাল বেলায় খালি পেটে খেলে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।
পরিপাক বা হজম: আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যাদের খাবার হজম বা পরিপাকের সমস্যার কারণে পেটের খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। হজম শক্তি কম বললেই চলে। তাতে অনেক অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং বমি বমি ভাব চলে আসে। কুসুম গরম পানির সাথে সকালে মধু এবং লেবু মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়।
সর্দি এবং জ্বর: এই পানীয়টি সর্দি ও জ্বর ভালো করতে খুব ভালো ভূমিকা রাখে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে সর্দি ও জ্বর সমস্যা রয়েছে তারা কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এই আমাদের মাথা ভারী ভাব কে খুব দ্রুত হালকা করতে সহায়তা করে। এই পানীয়টি রোজ সকালে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ত্বক মসৃণ: উক্ত পানীয়টি পানের ফলে আমাদের মুখের ত্বক মসৃণ ও হাইড্রেটেড থাকবে, মুখের ব্রণ বা যেকোনো ধরনের প্রদাহ দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলতে লেবুর এই পানি ওঠে অত্যন্ত কার্যকরী কালচে ভাবও দূর করতে পারে।
রক্ত পরিষ্কার: লেবুর তৈরি পানি ওঠে আমাদের দেহের রক্তকে পরিশোধিত করে। ফলে আমাদের দেহের রক্তে থাকা দূষিত পদার্থ পরিষ্কার হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের শরীর সুস্থ এবং রোগ মুক্ত হয়ে ওঠে।
এছাড়াও এই পানি ওঠে যাদের বুকের ব্যথার সমস্যা রয়েছে তারাও খেতে পারবেন। বুকের ব্যথা দূরত্ব দূর হবে।
অতিরিক্ত লেবু খেলে কি কি সমস্যা হয়
আমরা জানি লেবু খুবই উপকারী একটি। ফল শরীরের যেকোনো সমস্যার সমাধানে লেবু খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। তবে আমরা এটাও জানি যে যে কোন কিছু ভালো গুণ থাকার পাশাপাশি খারাপ গুণও থাকে। লেবুর ক্ষেত্রেও এই কথাটি সত্য। লেবুর যেমন উপকারিতা রয়েছে, ঠিক তেমনি অপকারিতাও রয়েছে আমাদের সামান্য ভুলের জন্য লেবুর মাধ্যমে আমরা অপকারিতা লাভ করতে পারি।
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড থাকে। আমরা যদি প্রয়োজনের বেশি পরিমাণে লেবু বা লেবুর রস গ্রহণ করে থাকি তবে সেটি আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যাবে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে দুটি উপাদান বিদ্যমান থাকে। সেগুলো হলো ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসি।ড এই সকল উপাদান গুলো অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন: সাইটোফটোডার্মাটাইটিস, রক্তে আয়রন বৃদ্ধি পাওয়া, ডিহাইড্রেশন, মাইগ্রেনের সমস্যা, পেট ফাঁপা বা পেট খারাপ হওয়া, এসিডিটি, মুখের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, ঘন ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি।
মুখের ভিতরের সমস্যা: প্রথমত অতিরিক্ত লেবুর রস গ্রহণের ফলে আমাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়। আমাদের দাঁতের এনামেল ক্যালসিয়াম ফসফেট, ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং ক্লোরাইড দিয়ে তৈরি লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে এই সকল উপাদান গুলো ক্ষয় হতে শুরু করে। এছাড়াও সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ বেশি হলে আমাদের দাঁতের ওপর সাদা স্তর পরার মত সমস্যাও সৃষ্টি হয়।
ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেন্টাল এন্ড ক্রিওনাল ফেসিয়ান রিসার্চের একটি গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, সফট ড্রিংক বা কোমল পানীয় খাওয়ার ফলে আমাদের দাঁতের যে সমস্যা সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত লেবুর রসও আমাদের দাঁতের ঠিক একই রকম ক্ষতি করে। মুখের ভিতরে বিভিন্ন প্রদাহ বাঘা সৃষ্টি করে।
এসিডিটি বা বমি ভাব: ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান। কিন্তু যে কোন কিছু অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে তার তো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবেই। অতিরিক্ত লেবুর রস গ্রহণের ফলে আমাদের পেটে এসিডিটি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন: গ্যাস্ট্রিক, আলসার, বমি হওয়া ইত্যাদি।
পেট খারাপ বা পেট ফাঁপা: অতিরিক্ত লেবুর রস খাওয়ার ফলে আমাদের পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে আমাদের পেট চেপে যায় এর কারণে বদ হজম বা পেট খারাপ হয়ে থাকে।
মাইগ্রেনের সমস্যা: বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে, যেকোন সাইটিক এসিডযুক্ত ফল অর্থাৎ সাইট্রাস ফল বা লেবুর রস অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে আমাদের মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে বা যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যাটি বেড়ে যেতে পারে। সাইট্রিক এসিডে থাকা টাইরামাইন নামক একটি উপাদানের কারণে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে।
সাইটো ফটোডার্মাটাইটিস: অনেক সময় অতিরিক্ত লেবুর রস গ্রহণের পর অনেকের ক্ষেত্রে রোদে বের হলে শরীরে এলার্জি জাতীয় লালচে র্যাশ বের হয়। আবার কখনো কখনো কালো কালো ছোপ দেখা দেয়। একে সাইটোফটোডার্মাটাইটিস বলা হয়ে থাকে।
ডিহাইড্রেশন: আমাদের শরীরকে গরমকালে ঠান্ডা রাখতে আমরা লেবুর রস বা লেবু পানি খেয়ে থাকি। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। তবে যদি এই ভাবে আমরা অতিরিক্ত লেবুর রস বা লেবু পানি পানি গ্রহণ করি তাহলে আমাদের শরীরেডি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেবে। যা আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ সৃষ্টি করে। ফলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়।
প্রতিদিন কতটুকু লেবুর রস খাওয়া উচিত
আমরা সবাই জানি যে লেবু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এটি ভিটামিন সি তে ভরপুর একটি ফল। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে খুবই ভালো কাজ করে থাকে এই লেবু। তাই আমরা অনেকেই লেবুকে বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকি। কেউ লেবুর রস করে। আবার কেউ গরম পানির সাথে। আবার কেউ লেবুর রসের সাথে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে। তবে আমরা কি জানি যে প্রতিদিন কতটুকু লেবুর রস খেতে হয়।
চলুন এই বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা যাক: কোন কোন জায়গায় বলা হয়ে থাকে যে, আমরা প্রতিদিন প্রায় ২ থেকে ৩ টি লেবু বা লেবুর রস যাই বলি না কেন খেতে পারবো। ২ থেকে ৩ টি লেবুর রসের পরিমাণ প্রায় ৩ থেকে ৬ টেবিল চামচ। এতে ৫৫ থেকে ৭৫ মিলি পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। আবার কোথাও কোথাও বলা হয়ে থাকে, একজন ব্যক্তি সাধারণত দিনে ১ টি লেবুর অর্ধেক অংশের রস অথবা একটি পুরো লেবুর রস খেতে পারবে।
এতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ থাকে ১৫ থেকে ৩০ মিলি এর মত। এটি প্রায় ১ থেকে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস হতে পারে তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে থাকেন যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে প্রতিদিন প্রায় ৯০ মিলি পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রায় ৭৫ মিলি ভিটামিন সি গ্রহণ করা প্রয়োজন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
লেবু আমাদের শরীরের যেকোনো রোগকে দ্রুত সারিয়ে তোলে। তাই এটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। রোজ পরিমিত পরিমাণে লেবু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আমার মতে মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়াই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আশা করি আপনারা সকলে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন আর আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে লেবু সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পেতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url