কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো?

আমরা অনেকেই জানিনা যে, কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো? আবার অনেকেই বিভিন্ন জায়গাতে এই সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য হয়তোবা পাননি। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যেমন: কিডনিতে পাথর হলে কি খেতে হয়,
কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় ইত্যাদি বিষয়ে। আপনারা আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করি আপনারা সকলেই আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সকলেই উপকৃত হবেন।

কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায়

আমাদের কিডনিতে সমস্যা হলে শুরুর দিকে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। অথবা আমরা কোন কিছু বোঝার আগেই আমাদের কিডনি পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। তখন আমাদের কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। ফলে আমাদের কিডনি তার কার্যক্ষমতাকে হারিয়ে ফেলে। যেকোনো সময় আমাদের কিডনি বিকল বা অকেজ হয়ে যেতে পারে। আমাদের কিডনি ড্যামেজ হওয়ার জন্য কোন বয়স নির্ধারণ করা থাকে না। 

যে কোন সময় যেকোনো বয়সী ব্যক্তির কিডনি ড্যামেজ হতে পারেঅ তাই আমাদের অবশ্যই উচিত আমাদের কিডনির দিকে নজর রাখাঅ আমরা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই যে, আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা, কিভাবে বুঝব? এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের কিডনি সুস্থ আছে কিনা এবং ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা? এটি জানতে অবশ্যই অন্ততপক্ষে বছরে দুই থেকে তিনবার কিছু কিডনির পরীক্ষা বা টেস্ট করাতে হবে। 

আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে

তাহলে আমরা নিশ্চিত হতে পারব যে, আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা? আমাদের কিডনি কাজ করছে কিনা? এটি বুঝার জন্য কয়েকটি টেস্ট রয়েছে যেমন: ক্রিয়েটিনিন টেস্ট, প্রস্রাবের এলবুমিন টেস্ট, ইউরিন রুটিন এন্ড মাইক্রোস্কোপি টেস্ট, কিডনি আলট্রা সাউন্ড বা ইউএসজি টেস্ট, এস্টিমেটেড গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট বা ইজিএফআর টেস্ট? চলুন এই সকল কিডনি টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

এস্টিমেটেড গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট বা ইজিএফআর: আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা এটি জানার জন্য অন্যতম একটি টেস্ট হলো এস্টিমেটেড গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট বা ইজিএফআর এই টেস্টের জন্য কিডনির স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৯০ বা তার বেশি তবে যদি এই মাত্রাটি এর কম দেখা যায় তবে বুঝতে হবে যে আমাদের কিডনিতে একটু সমস্যা রয়েছে আবার এই মাত্রা যদি ৩০ কিংবা ২০ এর নিচে থাকে তাহলে আমাদের দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে।

ক্রিয়েটিনিন টেস্ট: ক্রিয়েটিনিন আমাদের রক্তে অবস্থান করে। ক্রিয়েটিনিন টেস্টটি করার জন্য আমাদের রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিন মাত্রা ৫.০ মিলিগ্রাম হয় অথবা একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্রিয়েটিনিন মাত্রা যদি ১১০ মাইক্রো মোল/লিটার এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর ক্রিয়েটিনিন মাত্রা যদি ১০০ মাইক্রোমল/লিটার হয়, তবে এটিকে স্বাভাবিক মাত্রা হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এর মানে হচ্ছে যদি কারো ক্রিয়েটিনিন টেস্টে উক্ত ক্রিয়েটিনন মাত্রা আসে তাহলে তার কিডনিতে সমস্যা নেই বললেই চলে।

প্রস্রাবের এলবুমিন টেস্ট: এলবুমিন হলো আমাদের দেহের রক্তে থাকা প্রোটিন। প্রস্রাবের এলবুমিন টেস্টটি করার জন্য আমাদের প্রস্রাব টেস্ট করতে হয়। আমাদের কিডনি যখন তার কাজ করতে পারে না, তখন আমাদের মুত্রের সাথে বা প্রস্রাবের সাথে এলবুমিন যেতে থাকে। প্রস্রাবের সাথে এলবুমিন যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে। এর স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৩০ এমজি বা তারও কম হতে পারে। প্রস্রাবের নমুনা টেস্টের পর এর মাত্রা যদি বেশি থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আমাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে।

আলট্রা সাউন্ড বা ইউএসজি টেস্ট:আলট্রা সাউন্ড বা ইউএসজি টেস্টটির মাধ্যমেও আমরা জানতে পারবো আমাদের কিডনি সচল আছে কিনা। এই টেস্টটি করার মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো আমাদের কিডনিতে সিস্ট, টিউমার ও পাথর ইত্যাদি আছে কিনা। এছাড়াও আমরা জানতে পারবো আমাদের কিডনির আকার সাধারণের চাইতে বড় বা ছোট হয়ে গেছে কিনা।

উপরোক্ত টেস্ট বা পরীক্ষা সমূহ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা এটি নিশ্চিত করা হয়। যেমন: ইলেকট্রোলাইটস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, সিবিসি, হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি। কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের কিডনি বিকল হওয়ার আগে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন: ক্ষুধামন্দা বা খাবারের প্রতি অরুচি ভাব, বমি বমি ভাব, কোমরের দিকে ব্যথা অনুভব, পা ফুলে যাওয়া, শরীর ফুলে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থেকেও আমরা বুঝতে পারবো আমাদের কিডনি ভালো আছে কিনা।

কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো

যেকোনো রোগকে প্রতিকার বা প্রতিরোধ করতে অবশ্যই সেই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। কিডনিতে পাথর রোগটি আমাদের কাছে খুবই সুপরিচিত। কিডনিতে পাথর রোগীদের সংখ্যা দিন দিন গণহাড়ে বেড়েই চলেছে। কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো? এই প্রশ্নটি প্রায় সকলের মনেই জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদেরকে কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানতে হবে। 
কিডনিতে পাথর হলে অনেকগুলো লক্ষণ প্রকাশ পায়। যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা। কিডনিতে পাথর রোগটিকে চিকিৎসকদের ভাষায় কিডনি স্টোন ডিজিস বা নেফ্রলিথিয়াসিস বা রেনাল ক্যালকুলাস বলা হয়ে থাকে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিডনিতে পাথর হলে আমরা কিভাবে বুঝতে পারব কিডনিতে পাথর হয়েছে? এর প্রধান লক্ষণ হল কোমর,

তলপেট এবং মুত্রনালীতে প্রচন্ড ভাবে ব্যথা সৃষ্টি হয়। শরীরের অস্থিরতা, বমি হওয়া, শরীর প্রচন্ডভাবে ঘামা, খাবারের প্রতি অরুচি ভাব ইত্যাদিও কিডনিতে পাথর রোগের লক্ষণ। কিডনিতে পাথর হলে আমরা যখন মূত্র ত্যাগ করতে যাই তখন কিডনির পাথর আমাদের মুত্রনালীতে এসে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে সেই সময় মূত্র নালীতে ব্যথা সৃষ্টি হয়। মুত্রের সাথে রক্ত নির্গত হওয়াও কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি লক্ষণ।

এটিকে চিকিৎসকের ভাষায় হেমাটুরিয়া বলা হয়। এছাড়াও কিডনিতে পাথর হলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হওয়ার কারণে রোগীর শরীরে ঘন ঘন জ্বর আসে। প্রস্রাবের রাস্তায় প্রচুর জ্বালাপোড়া হয়। প্রস্রাবের ইনফেকশনকেও কিডনিতে পাথর রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। অনেক সময় কিডনিতে পাথর হলে কোন রকম লক্ষণ বা উপসর্গ প্রকাশ পায় না বা দেখা যায় না। 

আরো পড়ুন: প্লেইজারিজম কি প্লেইজারিজম বলতে কি বুঝায়

এটি তখনই হয় যখন পাথর আমাদেরকে কিডনির মাংসপেশিতে বা যাকে বলা হয় কিডনির কর্টেক্সে অবস্থান করে। রোগীর শরীর ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের সাথে অতিরিক্ত প্রোটিন যাওয়া এগুলোও কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ।

কিডনিতে পাথর হলে কি খেতে হবে

গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনিতে পাথর হওয়ার ফলে অধিকাংশ রোগীর কিডনি বিকল হয়ে যায় অথবা ড্যামেজ হয়ে যায়। জানা গেছে, আমাদের দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি বা তারও বেশি। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে আমাদের শরীরে নানা রোগ দেখা দেয় কিডনিতে পাথরের ক্ষেত্রেও তাই। সুতরাং কিডনিতে পাথর হলে একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে। 

আরো পড়ুন: শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয়

এখন যে সকল খাবারের কথা আলোচনা করব সে সকল খাবার যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে তাদের অবশ্যই খেতে হবে। এছাড়াও যাদের আগে কিডনিতে পাথর হয়েছিল তারাও এই খাবারগুলো অনুসরণ করবেন। কারণ একবার কিডনিতে যদি পাথর হয়ে থাকে তবে পরবর্তী সময় আবার এই সমস্যাটি হতে পারে। এর আগে আমি আলোচনা করেছি, কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো? এখন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিডনিতে পাথর হলে কি কি খেতে হয়। 
ডাক্তার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। কারণ পানি কম পরিমাণ পান করার কারণে রোদে প্রচুর পরিশ্রম করেন এবং প্রচুর পরিমাণ ঘাম হয় তাদের ক্ষেত্রে সারাদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লিটার পানি পান করা উচিত। আমরা জানি বিভিন্ন শাক সবজি আছে যেগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে আমাদের কিডনিতে পাথর হতে পারে। যেমন: পালং শাক,

বরবটি, টমেটো, কপি, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। শাকসবজি খাওয়াও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সকল শাকসবজি গুলো অত্যন্ত কম পরিমাণে কিডনিতে পাথর রোগীদের খাওয়া যাবে। প্রতিদিন লেবু বা লেবু পানি অথবা লেবুর রস যাই বলি না কেন কিডনিতে পাথর রোগীদের খাওয়া যাবে। লেবু হল সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ ফল যা আমাদের দেহে পাথর তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে।

কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ গুলো কি কি?

কিডনিতে পাথর রোগটি থেকে বাঁচতে আমাদেরকে অবশ্যই কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ গুলোকে জেনে রাখতে হবে। কারন ছাড়া কোন রোগীই আমাদের শরীরে আক্রান্ত হয় না। সকল রোগেরই কোন না কোন কারণ অবশ্যই থাকে। এই কথায় কোন সন্দেহ নেই যে কিডনিতে পাথর হওয়ারও কারণ রয়েছে। যাদের কিডনিতে পাথর হয়েছে এবং যাদের কিডনিতে এখনো পাথর হয়নি দুই শ্রেণীর মানুষকেই এই বিষয়টি জেনে চলতে হবে। এর মাধ্যমে যাদের কিডনিতে পাথর হয়নি তারা এই রোগটিকে প্রতিরোধ করতে পারবেন। কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:

  • যে কোন খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খাওয়া।
  • শৈশব কাল থেকে কম পরিমাণ পানি পান করা।শাকসবজি এবং ফলমূল স্বল্প পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর হয়।
  • অনেকটা সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখা।
  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া। যেমন গরুর মাংস ছোট মাছ চর্বিযুক্ত খাবার। এছাড়াও ব্রকলি, মিষ্টি, আলু, শিম, সিমের বিচি, বীজ জাতীয় খাবার, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, অ্যাভোকাডো, কমলা লেবুে ইত্যাদি।
  • সব সময় কোল্ড ড্রিংস বা কোমল পানীয় খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আমরা অনেকেই শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট বা ঔষধ সেবন করে থাকে। এর থেকেও কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত শারীরিক ওজন এর কারণেও কি নিতে পাথর হয়।
  • অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান করলে কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে।

কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে কি যাবে না

কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমাদের কে কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে কি যাবে না এটি জানা প্রয়োজন। ভুল খাদ্যাভ্যাস গ্রহণের ফলে আমাদের দেহে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে কিডনিতে পাথর রোগটিও রয়েছে কিডনিতে পাথর রোগটি কয়েক ধরনের বা কয়েক প্রকার হয়ে থাকে সাধারণত কিডনিতে পাথর রোগটি প্রধাণত ৪ প্রকার হয়ে থকে।

এগুলো হলো: ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ইউরিক এসিড, স্ট্রুভাইট, সিস্টাইন। এক এক ধরনের কিডনি পাথর রোগীদের খাদ্যাভ্যাস এক এক রকম হয়ে থাকে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিডনিতে পাথর হলে কি খাওয়া যাবে কি যাবে না?
বিভিন্ন প্রকার কিডনির পাথর খাওয়া যাবে না খেতে হবে বা খাওয়া যাবে
ক্যালসিয়াম অক্সালেট পুইশাক, পালংশাক, বিটরুট, মিষ্টিআলু, সয়াবিন, চা, কফি, ডাবের পানি, কলার মোচা, কাচা কলা, সস, টমেটো, স্ট্রবেরি, চকলেট। কেল পাতা, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, আখরোট, কুমড়োর বীজ, ব্রকোলি, রাজমা, ব্লুবেরি বা কালো জাম, শুকনো ডুমুর।
ইউরিক এসিড ডাল, কাবুলি ছোলা, দুধ, রাজমা, ব্রকোলি, চিনি, পুইশাক, পালংশাক, গরুর মাংস, খাসির মাংস, কলিজা, ফুসফুস, চর্বিযুক্ত খাবার, বিচি জাতীয় খাবার। রাফেজ বা আশযুক্ত খাবার, কুসুম ছাড়া ডিম, মুরগির মাংস, ফ্যাট ছাড়া দুধ, পরিমিত পরিমাণে মাছ, ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও খাবার, বেশি বেশি পানি।
সিস্টাইন মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ডিম, গোটা শষ্য, ওটস, শিমের বিচি, ঝিনুক। সয়াবিন, প্রচুর পানি, শাকসবজি।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

কিডনি আমাদের দেহের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা একবার বিকল বা অকেজ অথবা ড্যামেজ হয়ে পড়লে সেটি আগের মত সারিয়ে তোলা খুব কষ্টকর এবং কঠিন কাজ হয়ে ওঠে। তাই আমাদেরকে আগে থেকেই নজর রাখতে হবে আমাদের কিডনির দিকে আমাদের কিডনি ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিডনিতে কোন ইনফেকশন হয়েছে কিনা এই সকল বিষয়ে নজর রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। 

তাই আমাদের সকলেরই এই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো সম্পর্কিত আমার আর্টিকেলটি আপনারা পরে কিছুটা উপকৃত হলে আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও কিছুটা উপকৃত হতে পারে এবং সচেতন হতে পারে। আশা করছি আজকের আমার আর্টকেলটি পড়ে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url