পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা -ঘরোয়াভাবে সমাধান

আমরা অনেকেই জানিনা পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। এর জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গাতে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে অনেক খোঁজাখুঁজিই করে থাকি। এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। উক্ত বিষয়টি ছাড়াও আমি আমার আর্টিকেলটিতে পায়ের গোড়ালি শক্ত হয় কেন? 
এই বিষয়টি সহ আপনাদের প্রয়োজনীয় অনেক টপিক সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আমার আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে। আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে পারবেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনারা সকলেই পড়ার চেষ্টা করবেন।

পায়ের গোড়ালি শক্ত হয় কেন

আমাদের শরীরের কোন অংশে যদি দীর্ঘদিন ধরে চাপ পড়ে বা ঘষা লাগে তবে সেই স্থানের ত্বক শক্ত হয়ে যায় বা কড়া পড়ে যায়। আমরা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকি, আমাদের পায়ের গোড়ালি শক্ত হয় কেন? পায়ের গোড়ালি শক্ত হওয়ার অনেক ধরনের কারণ রয়েছে। আমাদের একটু অসচেতনতার কারণেই আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা আমাদের শরীরের যত্ন নিতে ভুলে যাই। 

আরো পড়ুন: কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা

আর সেই কারণেই আমাদের ত্বক রুক্ষ ও শক্ত হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের পায়ের গোড়ালি কেন শক্ত হয়। আমরা মেয়েরা অনেকেই হাই হিল বা উঁচু জুতা অথবা শক্ত ধরনের জুতা পরিধান করি। কিন্তু আমরা হয় তোবা এটি জানিনা যে, এই ধরনের জুতা পরিধানের ফলে আমাদের পায়ের গোড়ালি বা পায়ের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার সাথে সাথে আমাদের পায়ের গোড়ালি শক্ত হয়ে যায়। 

কারণ এই ধরনের জুতা পরিধানের ফলে আমাদের গোড়ালির ওপর চাপ পড়ে আবার আমরা অনেকেই নিজের পায়ের মাপ অনুযায়ী জুতা না পড়ে ভুলবশত তার চেয়ে ছোট মাপের জুতা পড়ে ফেলি। এর কারণেও আমাদের পায়ের গোড়ালি বা গোড়ালির ত্বক শক্ত হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আমরা আমাদের পায়ের সঠিক মত যত্ন নেই না। আমাদের পায়ের উপর সারাদিন অনেক চাপ পড়ে। এর জন্য আমাদের পায়ের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। 

আমাদের পায়ের ত্বক গোড়ালি পায়ের তলা পায়ের পাতা ইত্যাদি মসৃণ ও নরম রাখে এমন কিছু ব্যবহার করতে হবে অথবা আমরা ময়শ্চারাইজার ও ব্যবহার করতে পারি। এই বিষয়টির দিকে নজর না দিলে আমাদের পায়ের গোড়ালি সহ বিভিন্ন অংশ শক্ত হয়ে যেতে পারে।

পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

বিভিন্ন ধরনের কারণে আমাদের পা বা পায়ের তালুতে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা সৃষ্টি হয়। যার ফলে আমাদের হাঁটাচলা বা বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে অনেক অসুবিধা ও সমস্যা হয়ে থাকে। আমাদের পায়ের তালুতে গোড়ালি থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত এক ধরনের লিগামেন্ট থাকে। যা প্লানটার ফাসা নামে পরিচিত। এই শক্ত লিগামেন্ট বা প্লান্টার ফাসায় অধিক পরিমাণে চাপ পড়লে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন হয়। এর কারণে আমাদের পায়ের তালুতে অথবা গোড়ালিতেও ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। 

একে চিকিৎসকের ভাষায় প্লান্টার ফাসাইটিস বলা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটির কারণে পায়ের তালুতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেঝেতে পা রাখা যায় না এটি হলো এই রোগের সর্বপ্রথম উপসর্গ। অনেকক্ষণ কোথাও বসে থাকার পর হাটতে গেলে পায়ের তালুতে ব্যথা অনুভব হয়। পায়ের তলায় ব্যথা বা প্লানটার ফাঁসাইটিস রোগটি বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। 

আরো পড়ুন: বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের দাম কত

যাদের বয়স ৪০ এর ওপরে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই রোগটি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যারা প্রফেশনাল নৃত্য করেন এবং প্রচুর পরিমাণে খেলাধুলা করেন তাদের ক্ষেত্রেও এই রোগটি হয়। এছাড়াও যাদের দীর্ঘদিন ধরে অস্টিও আর্থ্রাইটিস রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও প্লান্টার ফাসাইটিস বা পায়ের তালুতে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগের কারণ হতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে পায়ের লিগামেন্টে বা তলায় চাপ পড়ে এমন কাজ করা। 
প্লান্টার ফাসাইটিস রোগের মূল কারণ হলো জুতা। আমাদের পায়ে আমরা নানা ধরনের জুতা পরিধান করে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা শক্ত জাতীয় জুতা ব্যবহার করে থাকি। তবে এটি করা একদমই আমাদের পায়ের জন্য সঠিক নয়। এর কারণে আমাদের পায়ের তালুতে ব্যথা হয়ে থাকে। বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী আমাদের দেহের ওজন বেশি হলে এই সমস্যাটি হতে পারে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

নরম জুতা ব্যবহার: আমাদের সবসময় নরম জুতা পরিধান করা উচিত। নরম সোল যুক্ত জুতা অথবা ডক্টর সু নামে এক ধরনের নরম জুতা পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। কিংবা এখন কাপড়ের তৈরি নরম জুতাও পাওয়া যায় এটি ব্যবহার করলেও চলবে। নরম জুতা ব্যবহারের ফলে আমাদের পায়ের তালুর ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

রাবার বলের ব্যবহার: বাজারে এক ধরনের রাবারের বল পাওয়া যায়। এগুলো যাদের পায়ের তালুতে ব্যথা রয়েছে তারা ব্যবহার করতে পারেন। একটি রাবার বল নিয়ে পায়ের তালুর নিচে রাখতে হবে। এরপর পায়ের তালু দিয়ে বলটিকে রোল করে ঘুরাতে হবে। এটি এক ধরনের পায়ের ব্যায়াম। এই ব্যায়ামটি কমপক্ষে এক থেকে দুই মিনিট চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে আমাদের পায়ের তালুর ব্যথা কিছুটা নিরাময় হবে।

ম্যাসাজ করা: পায়ের তালুতে হাত দিয়ে মালিশ করলে ব্যথা দ্রুত দূর করা যাবে। আমরা যদি অলিভ অয়েল বা ফিশ অয়েল দিয়ে পায়ের তালুতে মালিশ বা মেসেজ করি তাহলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে এবং ব্যথাও অনেক দ্রুত কমে যাবে।

ওজন কমানো: আমাদের দেহের ওজন আমাদের উচ্চতা বেশি হলে তাকে অতিরিক্ত ওজন ধরা হয়। অতিরিক্ত ওজনের কারণে আমাদের দেহে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। পায়ের তালু ব্যথার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত ওজন দায়ী হতে পারে। তাই আমাদের পায়ের তালু ব্যথা দূর করতে অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে।

আরো পড়ুন: রক্তের এলার্জি বা চুলকানির লক্ষণ সমূহ

গরম পানির সেক: যেকোনো ব্যথা নিরাময়ে গরম পানির সেক অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়। হালকা কুসুম গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখলে আমাদের পায়ের তালু ব্যথা কমে যাবে। কুসুম গরম পানির সেক আমাদের পায়ের লিগামেন্ট এবং টেনডন এর কোষ গুলোকে সজীব করে তোলে। ফলে আমাদের পায়ের ব্যথা দূর হবে। পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে এটি একটি অন্যতম প্রক্রিয়া।

বরফ ব্যবহার: আমরা যদি ২৫০ মিলি পানির বোতলে পানি ভরে ফ্রিজে রাখি। তারপর সেটি বরফে পরিণত হবে। এরপর ওই বরফের বোতলটি নিয়ে আমাদের পায়ের তালু দিয়ে এক থেকে দুই মিনিট করে রোল করলে পায়েল এক্সারসাইজ হবে এবং বরফের ব্যবহারও হবে। যে কোন প্রকার ব্যথা দূর করতে এবং ব্যাথা থেকে অবসান পেতে বরফের ব্যবহার অত্যন্ত উপযোগী।

খালি পায় না হাটা: আমরা যদি খালি পায়ে শক্ত এবং উঁচু নিচু স্থানে হাটি এতে আমাদের পায়ের লিগামেন্ট ও টেনডন এর ওপর চাপ পড়ে। এর ফলে আমাদের পায়ের তালু ও গোড়ালিতে ব্যথা সৃষ্টি হয় তাই খালি কখনোই হাঁটাহাঁটি করা যাবেনা।

পায়ের ব্যায়ম: আমাদের পায়ের কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করলে আমাদের পায়ের যে কোন ব্যথা খুব দ্রুত কমে আসে। পায়ের ব্যায়ামগুলো হল প্লান্টার ফাসা স্ট্রেস, ফুট সার্কেল একহিলিস,টো টাওয়াল কার্ল এগুলো ব্যায়াম করা যেতে পারে।

পায়ের গোড়ালি নরম করার উপায়

এর আগে আমরা পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনেছি। এখন জানব পায়ের গোড়ালি নরম করার উপায় ।প্রতিদিন কাজের ফাঁকে আমাদের শরীরের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। যত্নের অভাবে আমাদের হাত পায়ের ত্বক খসখসে রুক্ষ ও শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে হাত পায়ের ত্বক ফাটতে শুরু করে। আমাদের পা বিশেষ করে আমাদের পায়ের গোড়ালির খসখসে এবং রুক্ষ ভাব দূর করতে অর্থাৎ পাকে নরম রাখতে কিছু টিপস মেনে চলতে হবে চলুন সেগুলো জেনে নেই:

ভিটামিন ই ক্যাপসুল: ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের পায়ের গোড়ালির খসখসে ও রুক্ষ ভাবকে কমিয়ে দেয়। ফলে আমাদের পায়ের গোড়ালি কোমল ও মসৃণ হয়। ভিটামিন ই তে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বক চুল এবং শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।

আরো পড়ুন: কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায়

কোকোনাট অয়েল বা নারিকেল তেল: কোকোনাট অয়েল বা নারিকেল তেল আমরা আমাদের পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করতে পারব। এটি আমাদের ত্বককে যেমন মসৃণ এবং টানটান রাখে। ঠিক তেমনি আমাদের পায়ের গোড়ালির রুক্ষতা দূর করবে এবং গোড়ালি কে নরম রাখবে।

গোলাপজল: গোলাপজল আমরা অনেকেই ত্বককে মসৃণ করতে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, ত্বককে সুন্দর করতে ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা কি জানি এটি আমাদের পায়ের গোড়ালিকে কোমল ও মসৃণ রাখতে কতটা কার্যকরী? গোলাপজল ব্যবহারের ফলে আমাদের পা ও পায়ের গোড়ালি নরম থাকবে।

ময়শ্চারাইজার ও গ্লিসারিন: আমরা যদি আমাদের পা ও পায়ের গোড়ালি কে কোমল, মসৃণ ও নরম রাখতে চাই তাহলে ময়শ্চারাইজার ও গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারি। এই উপাদান গোড়ালি কোমল ও নরম রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।

পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ 

আমরা অনেকেই খেয়াল করে থাকি যে, মাঝে মাঝে হাঁটার সময় আমাদের পায়ের গোড়ালিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়। ব্যথার কারণে মেঝেতে বা মাটিতে পা রাখাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে এই পায়ের গোড়ালির ব্যথাটি কিছুটা সময় পর হালকা কমে যায় বলা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি ৪০ থেকে এর ওপর বয়সের ব্যক্তিদের এবং বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা দেয়। পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা জানার পাশাপাশি পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ সম্পর্কে জানাও প্রয়োজন
পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হওয়ার কারণে আপনারা অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। তাই পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে পায়ের গোড়ালি ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে থাকেন পায়ের গোড়ালি ব্যথা হওয়ার অনেক ধরনের কারণ থেকে থাকে। 

সবার পায়ের গোড়ালি ব্যথা হওয়ার কারণ কখনোই এক হয় না। কিছু কিছু রোগের কারণেও আমাদের পায়ের গোড়ালি ব্যথা হতে পারে। সেগুলো হল প্লান্টার ফ্যাসাইটিস, গেটেবাত, ক্যালকেনিয়াম স্পার, পায়ের লিগামেন্ট ইনজুরি, হাড়ের ক্ষয়, হাড়ভাঙ্গা, টার্সাল ট্যানেল সিনড্রোম ইত্যাদি। নিচে এই সকল রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

হাড় ক্ষয়: আমাদের শরীরের হাড়ের ক্ষয়ের কারণে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি একটি অস্থি সংক্রান্ত রোগ। একে চিকিৎসকের ভাষায় অস্টিওপোরোসিস বলা হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হলো ক্যালসিয়ামের অভাব এবং ভিটামিন ডি এর অভাব।

গেটেবাত: আমাদের শরীরে অস্থির জয়েন্ট গুলোতে প্রদাহের কারণে ব্যথা সৃষ্টি হয়। একে গেটেবাত রোগ বলা হয় গেটেবাত রোগের কারণেও আমাদের গোড়ালিতে ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে।

ক্যালকেনিয়াম স্পার: আমাদের পায়ের গোড়ালির হাড় বেড়ে গেলে গোড়ালিতে অস্বাভাবিক ব্যথা হয়। এই রোগটিকে ক্যালকেনিয়াম স্পার বলা হয়। এই রোগের কারণ হলো আমাদের পায়ের গোড়ালিতে খুব বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া।

সেভার্স ডিজিস: আমাদের পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হওয়ার জন্য অন্যতম কারণ হলো সেভার্স ডিজিস রোগ। এটি বিশেষ করে সেই সকল শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সকল শিশুরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে খেলাধুলা বা ব্যায়াম করে থাকে।

প্লান্টার ফ্যাসাইটিস: বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই পায়ের গোড়ালি ব্যথা হওয়ার মূল কারণ হয়ে থাকে প্লান্টার ফ্যাসাইটিস। আমাদের পায়ের প্লান্টার ফাঁসা নামক লিগামেন্টটিতে প্রদাহ হলে এই রোগটি দেখা দিতে পারে।

হাড় ভাঙ্গা: আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রচুর ভারী কাজ করে থাকি। অনেকেই আবার প্রচুর পরিমাণে ব্যায়াম, খেলাধুলা, কায়িক শ্রম ইত্যাদি করে থাকি। এই সকল কাজের ফলে আমাদের অস্থি ও হাড়ে চাপ পড়ে। ফলে অস্থি বা হাড়ে ফাটল সৃষ্টি হয়। ফাটলের ফলে এটি আমাদের গোড়ালির ব্যথা সৃষ্টি করে।
উপরোক্ত রোগসমূহ ছাড়াও আরো কিছু কিছু কারণেও আমাদের পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয় যেমন:
  • দেহের অতিরিক্ত ওজনের কারণে গোড়ালিতে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
  • পায়ের উপর চাপ পড়ে এমন কাজ করার কারণে ও আমাদের পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও এ সমস্যাটি দেখা দেয়।
  • আবার যারা অলস জীবন যাপন করে তাদের ক্ষেত্রেও পায়ের গোড়ালি ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

কিছু কিছু কারণে আমাদের পায়ের তালু এবং গোড়ালিতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। তবে এই সকল ব্যথাকে কোন ভাবেই অবহেলা করলে চলবে না। ছোট ছোট বিষয় থেকে অনেক বড় কিছু হয়ে যেতে পারে এটি আমাদের জেনে রাখতে হবে। আমাদের পায়ের তালু ব্যথা হলে আমাদেরকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। 

আশা করি আপনারা সকলেই পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কিত আমার আর্টিকেলটি পড়ে কিছুটা উপকৃত হয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছেন। আমার আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও আমার এই আর্টিকেলটি থেকে কিছু বিষয় জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url