নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জেনে নিন
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। তবে এই বিষয়ে সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই কিছু না কিছু ধারনা রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। উক্ত বিষয়টির পাশাপাশি নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়?
এই সম্পর্কেও আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও আপনাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন টপিক নিয়ে আমার আর্টিকেলটি তৈরি করেছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন। আশা করি আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পাশাপাশি আমাদের এটিও জেনে রাখতে হবে যে, নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হতে পারে। আমরা জানি কৃত্রিম এবং কেমিক্যাল এর চাইতে প্রাকৃতিক এবং ভেষজ উপাদান যে কোন সমস্যার সমাধানে ভালো কার্যকরী হয়ে থাকে। স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নের নিয়ম ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপরিসীম।
আরো পড়ুন: কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবেন
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ ত্বকের সকল প্রকার শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জাতীয় জীবাণুর সাথে লড়াই করে। যা আমাদের ত্বকে ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন প্রদাহ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তবে কোন কোন ত্বকে এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়?
রূপচর্চার কাজে অত্যন্ত পারদর্শী একটি উপাদান হিসেবে কাজ করা নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ। এই দুটি উপাদান যখন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয় সেই মিশ্রণটি আরো বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। আজকাল এই দুটি উপাদান বিভিন্ন প্রসাধনীতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে প্রসাধনীর চেয়ে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিকভাবে ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়।
- আমরা যদি আমাদের মুখে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে পেস্ট তৈরি করে লাগাই তাহলে আমাদের মুখের যাবতীয় কালো দাগ দূর হবে।
- ছেলে এবং মেয়েদের মুখে ব্রনের সমস্যা সমাধানে বিশেষ কার্যকর এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান।
- আমাদের অনেকেরই ত্বকের এলার্জির সমস্যা রয়েছে। এলার্জি বা চুলকানি দূর করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে মুখে লাগালে আমাদের বয়সের ছাপ দূর হবে। মুখের ত্বক টানটান থাকবে।
- মুখের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলতে এই দুটি ভেষজ উপাদান ব্যবহৃত করা হয়ে থাকে।
- নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের থাকে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফর্মুলা যা আমাদের ত্বককে সকল প্রকার জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
- আমাদের চোখের নিচে অথবা চোখের চারপাশে কালো দাগ পড়ে যায়। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের পেস্ট লাগালে তা থেকে মুক্তি মিলবে।
- এই মিশ্রণটি আমাদের মুখের ত্বককে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।
মুখে নিম পাতা দিলে কি হয়
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় তা আমাদের সকলের জন্য প্রয়োজন। আমরা জানি নিম পাতার রূপচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমি আমার নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় বিস্তারিত। আমরা যদি আমাদের মুখে নিম পাতার রেমিডি বা বেস্ট তৈরি করে লাগাই তাহলে,
আমাদের ত্বক ভেতর থেকে জীবাণুমুক্ত হবে, পরিষ্কার হবে। আমাদের মুখে মেস্তার দাগ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও মুখের ত্বকের যাবতীয় প্রদাহ। যেমন: চুলকানি, এলার্জি, ব্রণ, র্যাশ ইত্যাদি দূর হবে। আমাদের মধ্যে যাদের ত্বক অত্যন্ত তৈলাক্ত। নিম পাতার রস বা পেস্ট লাগালে তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে থাকে তারা এটি মুখে ব্যবহারের ফলে মুখ হাইড্রেটেড থাকবে এবং সতেজ হয়ে উঠবে।
নিম পাতার প্রচুর গুণাগুণ রয়েছে যা কখনোই বলে শেষ করা যাবে না। তবে সচেতন থাকতে হবে যে নিম পাতা মুখে ব্যবহারের পর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কিনা। তাহলে তৎক্ষণাৎ এর ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। সবার ক্ষেত্রেই সব কিছু প্রযোজ্য হয়ে ওঠে না। আবার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেও বিপরীত ফলাফল গ্রহণ করতে হবে। তাই সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এর ব্যবহার গ্রহণ করতে হবে।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
মহান আল্লাহতালা প্রাকৃতিক মাধ্যমে আমাদের অনেক উপহার দিয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের উপায় প্রদান করেন প্রাকৃতিকভাবে। আমাদের সৃষ্টিকর্তা নিম গাছ এমন গুনাগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন উপকার লাভ করতে পারি। আমাদের মাঝে অনেকের নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়টি অজানা রয়েছে।
তাই আমি আমার আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি। প্রথমেই চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বলে কখনো শেষ করা যাবে না। এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে নিম পাতার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে নিম পাতার মধ্যে আশ্চর্য উপাদান ও গুনাগুন রয়েছে।
যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে কার্যকরী একটি উপাদান। এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে বিভিন্ন রোগের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। এই প্রাকৃতিক উপাদানের বিভিন্ন উপকারিতা যেমন: এটি কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে, সকল ধরনের চর্ম রোগের ঔষধ, ত্বকের জন্য উপকারী, হৃদরোগ ও যকৃতের রোগের জন্য কার্যকরী, পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দাঁতের জন্য উপকারী , রক্ত পরিষ্কার রাখে চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয় ওজন নিয়ন্ত্রণ শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নিরাময় বাতের ব্যথা দূর ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: নিম পাতায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। নিম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
চুলের সমস্যার সমাধান: আমরা যদি আমাদের চুলে কয়েক সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নিমপাতার পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের চুলের উকুন দূর হবে। আবার আমাদের মাথায় অনেকেরই খুশকির সমস্যা রয়েছে। নিম পাতার পেস্ট ব্যবহারের ফলে দ্রুতই খুশকি দূর হবে। এটি আমাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা। করে চুল পড়াও কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসে।
ত্বকের সমস্যায়: আমাদের ত্বকে আজকাল প্রচুর ব্রণ, র্যাশ, এলার্জি, বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দেখা যায়। এর জন্য আমরা অনেকে অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি। নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে আমরা যদি আমাদের ত্বকে অ্যাপ্লাই করি তাহলে ত্বকের এই সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে ঘরোয়া উপায়ে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: আমরা অনেকেই আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে প্রচুর চিন্তিত রয়েছি। কোন কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছে না। সঠিক ডায়েট চার্টের পাশাপাশি আমাদের নিম পাতার রস সেবন করা উচিত। তাহলে ওজন খুব দ্রুতই কমতে শুরু করবে।
দাঁতের চিকিৎসায়: নিম পাতার গুড়া বা নিমের ডাল দিয়ে আমরা যদি প্রতিদিন দাঁত মাজি তাহলে দাঁতের সকল সমস্যা ভালো হবে। দাঁত শক্তিশালী হবে, দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর হবে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্তপাত হওয়া বন্ধ হবে, দাঁতের শিরশির ভাব দূর হবে।
দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর: নিম পাতাতে এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা আমাদের দেহের সকল ধরনের বিষাক্ত পদার্থকে পরিশোধ করে দে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
উপরে আমরা নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এখন আমি নিম পাতার কিছু অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। সকল উপকারী জিনিসের অপকারিতা ও রয়েছে। তাই নিম পাতারও কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যা আমাদের জন্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
- গর্ভাবস্থায় কেউ নিম পাতা বা নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে ভ্রুণের বিভিন্ন জটিল সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আমরা যদি প্রচুর পরিমাণে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিমপাতা গ্রহণ করে থাকি তাহলে এর উপকারিতা লাভের চেয়ে উপকারিতা লাভ করতে হবে।
- কারো কারো ক্ষেত্রে নিমের দ্বারা এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- কারো কারো ক্ষেত্রে নিম পাতা সেবন করলে শরীরে সহ্য হয় না বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- যাদের লো প্রেসার এর বা নিম্ন রক্তচাপ এর সমস্যা রয়েছে তারা এটি সেবন করলে এই সমস্যাটি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ নিমপাতা সেবনের ফলে আমাদের রক্তচাপ কমতে থাকে।
- কেউ যদি মাত্রাতিরিক্ত নিমপাতা গ্রহণ করেন তাতে বিপরীত ফলাফল দেখা দিবে প্রয়োজনের বেশি কোন কিছুই ভালো না।
- আমরা যদি কোন ঔষধ সেবন করার পাশাপাশি নিম পাতা গ্রহণ করি তাহলেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ ওষুধের সাথে নিম পাতা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে।
নিম পাতা চুলে কিভাবে ব্যবহার করে
উপরে আলোচনা করা হয়েছে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। এখন আলোচনা করব নিম পাতা চুলে কিভাবে ব্যবহার করে? প্রথম পর্বে জেনে নেওয়া যাক চুলে নিম পাতা ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে।
- হেয়ার ফল বা চুল পড়া কমে যাবে।
- মাথা ঠান্ডা থাকবে।
- চুল স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে।
- চুলের খুশকি দূর হবে।
- চুলের উকুন দূর হবে।
- চুলের ভেঙ্গে যাওয়া বন্ধ হবে।
- চুল কালো থাকবে।
- মাথার বিভিন্ন এলার্জি চুলকানি দূর হবে।
- নতুন চুল গজাতে শুরু হবে।
এবার চলুন জেনে নেই নিম পাতা চুলে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বর্ষা এবং শীত এই দুই মৌসুমে আমাদের চুলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমরা নিম পাতা কে বিভিন্ন ভাবে আমাদের চুলে ব্যবহার করতে পারি।
- আমরা সরাসরি নিম পাতার পোস্ট তৈরি করে চুলের ওপর অর্থাৎ স্ক্যাল্পে লাগাতে পারি।
- গোসলের আগে গোসলের পানিতে নিম পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি মাথায় দিয়ে আমরা গোসল করতে পারি।
- নিম পাতা কিছু পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে তারপর সেটি ছেঁকে নিতে হবে। এরপর সেই ফোটানো পানি ঠান্ডা করে মাথায় এবং চুলে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর অথবা গোসলের সময় শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এভাবেও আমরা চুলে নিম পাতার ব্যবহার করতে পারি।
- আমরা নিম পাতার রসের সাথে সামান্য নারিকেল তেল অথবা টি-ট্রি অয়েল ভালো করে মিশিয়ে সেটিকে চুলে ব্যবহার করতে পারি।
- আমরা নিম পাতা দিয়ে যে কোন হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলের ব্যবহার করতে পারি।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
আমরা জানি নিম পাতার রস আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর। এতে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে অনেকেই জানেন না খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়? চলুন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- সকালে খালি পেটে প্রতিদিন নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
- কাল সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস করে খাওয়ালে কৃমির সমস্যা দূর হবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে নিম পাতার রস পান করলে সারা রাতে আমাদের দাঁতে জমা থাকা ক্যাভিটিকে দূর করতে সাহায্য করে।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিম পাতার সেবন করার ফলে মুখের ভিতরের দুর্গন্ধ দূর হয় প্রাকৃতিক সতেজতা মুখের ভিতর তৈরি হয়।
- সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী এবং উপকারী হয়ে উঠবে। সকালে খালি পেটে আমরা যে কোন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান গ্রহণ করলে খুব সহজেই তা অনেক কার্যকরী হয়।
- সকালে খালি পেটে নিমপাতার রস যদি আমরা প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস করে তুলতে পারি তাহলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
- সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
- নিম পাতার রস সেবনের ফলে আমাদের শরীর সতেজ ও সজীব হয়ে ওঠে। আর যদি আমরা সকালে খালি পেটে সঠিক গ্রহণ করি তাহলে বেশি ফলাফল পাওয়া যায়।
- এই নিয়মে নিম পাতার রস পান করলে সারাদিনের কাজের জন্য আমাদের দেহ শক্তি পেয়ে থাকে।
- সকালে নিম পাতার রস খালি পেটে পান করলে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করা সম্ভব হয়।
- সকালে খালি পেটে এই রস পান করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক আশা করি আমার আর্টিকেলটি সম্পন্ন শেষ করার মাধ্যমে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। আমার মতে নিম পাতার অপকারিতার চাইতে উপকারিতাই সবচেয়ে বেশি। আমরা যদি নিম পাতার সঠিক ব্যবহার জেনে থাকি তাহলে এর দ্বারা আমাদের কোন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়।
আশা করি আমার আর্টিকেলটি পরে আপনারা কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের কাছে আমার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url