এক নজরে জেনে নিন গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা অনেকেই অনেক জায়গাতে গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই। তবে অনেকেই এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাই না। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। উপরোক্ত বিষয়টি ছাড়াও আমার আর্টিকেলটিতে অতিরিক্ত দুধ খেলে কি হয়, 
এই বিষয়টি সহ আরো আপনাদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আমার আর্টিকেলটি আপনারা সকলেই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং উপকৃত হবেন।

অতিরিক্ত দুধ খেলে কি হয়

দুধ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। দুধ খেলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই জানিনা যে, অতিরিক্ত দুধ খেলে কি হয়? আমরা অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করি অথবা দুগ্ধজাত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে পছন্দ করি। তাহলে আমাদের এ বিষয়টিও জেনে রাখতে হবে অতিরিক্ত দুধ খাওয়া ভালো না খারাপ। 

তাই আমি আমার গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে অতিরিক্ত দুধ খেলে কি হয় এই বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। আমরা যদি অতিরিক্ত দুধ পান করি তাহলে আমাদের দেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন ধরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন: হজমের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, গ্যাসের সমস্যা, ডায়রিয়া, মস্তিষ্কের ক্ষতি ইত্যাদি। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের সমস্যা: অতিরিক্ত দুধ পান করলে কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা প্রকাশ পেয়ে থাকে। যেমন: মুখে ব্রণ বের হওয়া, মুখে ছোট ছোট দানার মত বের হওয়া।# আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দুধে এলার্জিও রয়েছে। অতিরিক্ত দুধ পান করলে এই এলার্জি ত্বকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরকম কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেলে খাদ্য তালিকা থেকে দুধের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পেটের সমস্যা: অতিরিক্ত দুধ সেবনের কারণে আমাদের পেটের কিছু কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের পেটের হজমের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্থ হতে পারে এর ফলে আমাদের বদহজমও হতে পারে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত কিছু কিছু সমস্যা হতে পারে।

আরোও পড়ুন: দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

ওজন বৃদ্ধি: আমরা অনেকেই জানিনা অতিরিক্ত দুধ পানের ফলে আমাদের দেহের ওজন কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা জানি দুধে প্রচুর উপকারী ফ্যাট রয়েছে। তবে অতিরিক্ত দুধ পানের ফলে এই ফ্যাট আমাদের শরীরে গিয়ে জমা হতে থাকে। যার ফলে আমাদের শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

হাড়ের সমস্যা: দুধে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং প্রোটিন ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান থাকে। দুধ অতিরিক্ত গ্রহণ করলে দুধের এই সকল উপাদানের কারণে আমাদের হারের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে আমরা জানি অতিরিক্ত কোন কিছুই আমাদের দেহের জন্য সঠিক নয়।

দুধ খেলে ওজন বাড়ে কি

আমরা সকলেই জানি আদর্শ খাবারের মধ্যে দুধ অন্যতম একটি খাবার। এক কাপ দুধে ক্যালরির পরিমাণ থাকে ১৫২, ফ্যাটের পরিমাণ থাকে পাঁচ গ্রাম, প্রোটিনের পরিমাণ থাকে আট গ্রাম, ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকে ১২৫ মিলিগ্রাম। আমরা অনেকেই এই প্রশ্নটির উত্তর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে থাকি যে, দুধ খেলে ওজন বাড়ে কিনা? 

এই সম্পর্কে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। যারা ভাবেন দুধ খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় বা বেড়ে যায় এটি একদমই সঠিক ধারণা নয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধারণাটি সঠিকও ধরা হয়ে থাকে। দুধ খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এই ধারণাটি সঠিক নয় কেন এটি এখন আলোচনা করছি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, দুধ একটি পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও খুবই কার্যকরী একটি খাবার। 

আরো পড়ুন: স্নায়ু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

আমরা যারা আমাদের ডায়েট মেইনটেইন করে থাকি তাদের অবশ্যই ডায়েটে দুধ রাখতে হবে। এটি আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করা তো দূরের কথা বরং এটি আমাদের ওজন কমাতে সহায়তা করবে। আবার দুধ খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এই কথাটিও সঠিক। 

যখন কোন ব্যক্তি প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধজাত খাবার প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করে এবং তার পাশাপাশি দুধও মাত্রাতিরিক্ত পান করে। তাদের ক্ষেত্রে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দুধে অন্যান্য ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি ফ্যাটও রয়েছে। এটি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যতই উপকারী একটি খাবার হোক না কেন, 

মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছু খেলে অর্থাৎ ফ্যাটি খাবার প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করলে তা থেকে আমাদের শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে। ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা বিষয়টি নিয়েই আজকের আমার এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা তো সবাই গরুর দুধ পান করে থাকি। 
তবে এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা রাখি না। গরুর দুধের উপকারিতার পাশাপাশি কিছুটা হলেও অপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে উক্ত বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
উপকারিতা অপকারিতা
দৈহিক ওজন কমায়, হাড় ও পেশিকে শক্তিশালী এবং মজবুত করে, শারীরিক শক্তির যোগান দেয়, শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে, ব্রেইন শক্তি বৃদ্ধি করে, দৈহিক বৃদ্ধি ঘটায়, চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তুলে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হার্ট ভালো রাখে, ত্বককে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর রাখে, দাঁতকে ভালো রাখে, শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে, ক্যান্সারের ঝুকি কমায় ইত্যাদি। কারো কারো ক্ষেত্রে দুধে এলার্জি হয়, অতিরিক্ত দুধ পান করলেপেটের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধি পায়, শরীরে কোনো অংশে ক্ষত হলে বা অপারেশন করা হলে দুধ খাওয়া সঠিক নয়, মাত্রাতিরিক্ত দুধ সেবনের ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়, কিডনি রোগীদের দুধ খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে দুধ পানের পর সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

দুধ বার বার গরম করলে কি হয়

দুধ বার বার গরম করলে কি হয়? এই বিষয়টি প্রায় সকলেরই অজানা। দুধ বার বার গরম করা কি ভালো না খারাপ এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। দুধ তো আমরা প্রায় সকলেই পান করে থাকি। তবে দুধটা কিভাবে বা কতবার গরম করা উচিত সেটা অনেকেই জানিনা। তাই চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক বারবার দুধ গরম করলে কি হয়। 
খোলা দুধ বা প্যাকেটের দুধ সব ধরনের দুধেই বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই আমাদের সবসময় উচিত আমরা যে দুধটি পান করছি সেটি ভালোভাবে গরম করে ফুটিয়ে পান করা। সঠিকভাবে দুধটিকে ফুটিয়ে নিলে তাতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায় এবং তখন দুধটি খাওয়ার উপযুক্ত হয়। তবে দুধটাকে গরম করা বা ফুটিয়ে নেওয়ার মাঝেও কিছু নিয়ম রয়েছে। 

আমরা যদি দুধকে খুব বেশি পরিমাণে গরম করে ফুটাতে থাকি তাহলে সেটি আমাদের জন্য অপুষ্টিকর হয়ে ওঠে। আমরা জানি দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান, আয়রন, ভিটামিন ডি, ফ্যাট এবং খনিজ সহ প্রায় সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিদ্যমান থাকে। আমরা যদি দুধকে বারবার অথবা ঘন ঘন গরম করি বা ফোটাতে থাকি তাহলে, 

দুধে থাকা এই সকল উপাদান গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তখন সেই দুধ খেলে আমাদের শরীরে কোন কাজে দেবে না। যখন দুধে কোন পুষ্টি উপাদানই থাকবে না তখন সেই দুধ আমাদের দেহের কোন ঘাটতিই পূরণ করতে পারবে না। আমরা জানি শাক-সবজি রান্না করার সময় সম্পূর্ণভাবে রান্না না করে সবজিকে হালকা ভাবে রান্না করলে সেই রান্না করা সবজি থেকে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। দুধের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনি।

একজন মানুষের দৈনিক কতটুকু দুধ পান করা উচিত

আমরা সকলেই জানি দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সুষম খাবার এটি আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এটি আমাদের শরীরের সকল ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে। শরীরে প্রচুর শক্তির জোগান দেয়, শারীরিক দুর্বলতা দূর করে, আমাদের স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যে আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় দুধ রাখা।

তবে অনেকেই জানেন না একজন মানুষের দৈনিক কতটুকু দুধ পান করা উচিত বা কতটুকু দুধ গ্রহণ করতে হয়। তাই আমি আমার গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয়টি উল্লেখ করেছি। আমরা যাই খাই না কেন সেটা সব সময় যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে। সেটার কম হলেও সমস্যা আবার বেশি হলেও আমাদের জন্য ক্ষতিকর। 

আরোও পড়ুন: শিশুদের পুষ্টির অভাবে কি রোগ হয় জানেন কি

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক একজন মানুষের দৈনিক কতটুকু দুধ পান করা প্রয়োজন। শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে দৈনিক খাবার তালিকায় দুধ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ এবং দৈহিক বিকাশের জন্য দুধ অন্যতম পুষ্টিকর খাবার। শিশুদের সকল প্রকার পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য দৈনিক দুই গ্লাস পরিমাণ দুধ খাওয়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। 

প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই কথা। দৈনিক দুই গ্লাস পরিমাণ দুধ গ্রহণ করা উচিত। কারণ যতই আমাদের বয়স বাড়বে ততই আমাদের শরীরের উপর কাজের চাপ পড়বে। তাই কর্ম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে অবশ্যই আমাদের দৈনিক খাবার তালিকায় দুই ক্লাস পরিমাণ দুধ রাখা অত্যাবশ্যকীয়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ডি এবং পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। 

যার ফলে আমাদের দেহে বিভিন্ন রোগ এবং সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে যাদের দুধ খাওয়ার ফলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা বিভিন্ন দৈহিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাদের উচিত দৈনিক খাবার তালিকা থেকে দুধের গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ খাওয়া উচিত। তবে যারা দৈনিক দুগ্ধ জাত খাবার যেমন: পনির, ঘি, মাখন, দই ইত্যাদি গ্রহণ করেন তাদের জন্য ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা প্রয়োজন। এর চেয়ে বেশি গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং পুষ্টিকর একটি সুষম খাদ্য। দুধ পান করার ফলে আমরা দুধের অনেক উপকারিতা লাভ করতে পারি। তবে আমাদের সঠিক নিয়মে সঠিকভাবে দুধ পান করতে হবে। আর অবশ্যই সব সময় পরিমাণ মতো দুধ সেবন করা জরুরী।

সুপ্রিয় পাঠক আশা করি গরুর দুধের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন এবং কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। আজকের আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে গরুর দুধের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url