দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জানুন
আমরা কি সবাই জানি, দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি? দুধ এবং দুধের সর খাওয়ার উপকারিতাও রয়েছে এবং অপকারিতাও রয়েছে। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনাদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আজকে আমার এই আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
উক্ত বিষয়টি ছাড়াও রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আমার আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনাদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা সমস্ত বিষয়ে সঠিক তথ্য পাবেন। আশা করি আমার আর্টিকেলটি আপনারা সকলেই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।
রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা অনেকেই জানিনা যে, রাতে উপকারিতা ও অপকারিতা আছে কিনা? আমরা অনেকেই রাতে শোয়ার আগে দুধ পান করে থাকি। রাতে ঘুমানোর আগে আমরা যদি দুধ পান করে থাকি তাহলে যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তার পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে। যেগুলো আমাদের জন্য জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি?
রাতে দুধ খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল:
- রাতে ঘুমানোর আগে আমরা যদি এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে ঘুমাই তাহলে আমাদের ঘুমের সমস্যা দূর হবে এবং অত্যন্ত ভালো ঘুম হবে।
- রাতে ঘুমানোর আগে আমরা যদি দুধ খাই তাহলে আমাদের সারাদিনের শারীরিক ক্লান্ত ভাব দূর হবে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে হালকা গরম দুধ পান করলে আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ সবল ও ভালো থাকবে।
- এই সময় দুধ পান করলে সারাদিনের মানসিক চাপ দূর হয়।
- শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম ভিটামিন প্রোটিন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।
- রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে সর্দি কাশি ভালো হয়।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুধ পান করার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে:
- আমরা যদি দিনে দুধ পান করি তাহলে শারীরিক পরিশ্রমের ফলে দুধে থাকা ফ্যাট বা চর্বি আমাদের শরীরে জমাকৃত হয় না। তবে রাতে ঘুমানোর পূর্বে আমরা দুধ পান করলে আমাদের শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা থাকে।
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুধ পান করলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আমরা যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ খাই তবে আমাদের শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু আমরা রাতে শারীরিক পরিশ্রম করি না তাই ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াই স্বাভাবিক। অধিক ক্যালোরি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুধ পান করলে কারো কারো ক্ষেত্রে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন: বদহজম, বমি ভাব, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, পেটে গ্যাস ও এসিডিটি হওয়া ইত্যাদি।
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠক আজকের আমার আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। আমরা অনেকেই দুধের সর খেতে প্রচুর পছন্দ করে থাকি। তবে আমরা জানি না দুধের সর খাওয়ার ভালো ও খারাপ দিক গুলো কি কি। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। নিচে বিষয়টি আলোচনা করা হলো:
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল:
- দুধের সর খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হবে। তার পাশাপাশি আমাদের ত্বক টানটান মসৃণ এবং দাগ মুক্ত হবে দুধের সরকে অনেকেই ত্বকের যত্নে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকে। যার ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
- দুধের চাইতে দুধের স্বরে পুষ্টি উপাদান, আয়রন, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদির পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।
- দুধে যতটুকু ক্যালরি পাওয়া যায় তার থেকে দুধের সর খাওয়ার ফলে বেশি পরিমাণ ক্যালরি পাওয়া যায়।
- দুধের চাইতে দুধের স্বরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ প্রয়োজনীয় ফ্যাট বা চর্বি থাকে। যা আমাদের দেহের জন্য কিছু কিছু বিষয়ে প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- দুধের স্বরে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে। যা গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়।
দুধের স্বর খাওয়ার অপকারিতা গুলো হল:
- বেশি পরিমাণ দুধের সর যদি আমরা গ্রহণ করি বা খেয়ে থাকি তাহলে আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে থাকবে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত খারাপ একটি দিক।
- দুধের সর খাওয়ার ফলে আমাদের শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
- যারা কিডনি রোগী রয়েছেন তাদের জন্য দুধের সর খাওয়া খুবই ক্ষতিকর একটি দিক। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ আছে যেগুলো দুধের সর খাওয়ার ফলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়।
- দুধের সর অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণের ফলে যেহেতু আমাদের শারীরিক ওজন বৃদ্ধি পায় এবং তার পাশাপাশি আমাদের শরীরে মেদ অথবা চর্বি জমতে থাকে তাই অন্যান্য রোগ আমাদের দেহকে আক্রান্ত করে। যেমন: হার্টের সমস্যা অথবা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার ইত্যাদি।
- দুধের সরে অনেকেরই ত্বকের এলার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- দুধের সর খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি বৃদ্ধি পায়। শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে।
দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি
দুধ অত্যন্ত উপকারী একটি গুন সম্মত খাবার। তাই আমরা অনেকেই দুধ পান করে থাকি। তবে আমরা কি সবাই জানি দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? আমার মতে আমরা অনেকেই জানিনা কোন সময় দুধ খাওয়া আমাদের জন্য ভালো, কোন সময় দুধ খেলে আমরা বেশি উপকার লাভ করতে পারব? সেটি জানা আমাদের জন্য প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: দুধের সাথে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
তাই আমি আমার দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? এই বিষয়টি রাখার চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমাদের সকলেরই দুধ পান করার সঠিক সময় জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। দিনের যেকোনো সময় দুধ পান করলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান মিলবে। তবে এর থেকে বেশি ফলাফল পেতে হলে,
সকালে অথবা রাতে দুধ পান করা সবচেয়ে ভালো সময় হয়ে থাকে। আমরা যদি আমাদের ডায়েট সঠিক ভাবে মেইনটেইন করতে চাই তাহলে আমাদের সকালে অর্থাৎ সকালের নাস্তায় দুধ পান করা উচিত। আবার রাতে ঘুমানোর আগে দুধ পান করলেও শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ হয় এবং ঘুমও ভালো হয়। এর পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের জেনে রাখতে হবে।
আমাদের কখনোই খালি পেটে দুধ পান করা যাবে না। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যে, সবসময় কিছু না কিছু খাবার খাওয়ার পরে দুধ পান করা।
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
দুধ তো আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি। তবে আমরা কি জানি দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা হলুদকে বিভিন্ন ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানি না দুধের সাথে হলুদ মিশিয়েও খাওয়া হয়ে থাকে। হলুদে থাকে টারটারিক অ্যাসিড এবং দুধে থাকে ল্যাক্টিক অ্যাসিড। যখন এই দুইটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পানীয় তৈরি করা হয়,
তখন এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং জাদুকারি একটি খাদ্য হয়ে ওঠে। চলুন তাহলে উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।যথা: ক্যান্সার কোষ নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের ব্যাঘাত দূর, আর্থ্রাইটিসের জন্য উপকারী, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল করে তোলে,
ডায়রিয়ার সমস্যার সমাধান দেয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, সর্দি, কাশি ও জ্বর ভালো করে, বুকে জমা থাকা কফ ভালো করে, যকৃতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের যে কোন ধরনের ব্যথা কমিয়ে দেয়, রক্ত বিশুদ্ধ রাখে, প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
ঘুমের সমস্যার সমাধান: আমরা জানি আমাদের যদি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে অথবা ঘুম আসে না এরকম সমস্যা থাকে তাহলে গরম দুধ পান করলে সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলে। তবে এক গ্লাস দুধে যদি এক চা চামচ পরিমাণ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে সেবন করা যায় তাহলে দুধের কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পায়। সে ক্ষেত্রে ঘুম না আসা সমস্যাটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের যে কোন সমস্যার সমাধান: আমাদের ত্বকের যেকোন ধরনের সমস্যা যেমন: ত্বকের চুলকানি, এলার্জি, ব্রণ, মেস্তার দাগ, ফুসুরি, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে। আমরা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে দ্রবণটি পান করতে পারি। এটি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে থাকে। এছাড়াও আমাদের ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে সহায়তা করে, ত্বককে হাইড্রেটেড, মসৃণ এবং টানটান করে তোলে।
পিরিয়ডের সমস্যায়: যে সকল মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা রয়েছে। তারা প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন দুধ ও হলুদের এই মিশ্রণটি খেলে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পিরিয়ডের সময় মহিলাদের কোমরের ব্যথাও ভালো হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে: আমরা যারা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছি তারা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এক গ্লাস দুধের সাথে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। আমরা জানি সাধারণত দুধ খেলে আমাদের ওজন কমে। আর যদি হালকা গরম দুধের সাথে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দুধটি পান করা যায় তাহলে সেই দুধের কার্যকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত ওজন ও দেহের অপ্রয়োজনীয় চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
আরোও পড়ুন: নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করে: আমরা আমরা অনেকেই জানি যে কুসুম গরম দুধ পান করলে আমাদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের ব্যথা ভালো হয় এবং ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। তবে এক গ্লাস হলুদ মিশ্রিত কুসুম গরম দুধ পান করলে বেশি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যেকোন ধরনের মাথা ব্যথা, বাত ব্যথা, হাত পায়ের ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘাড়ের ব্যথা ইত্যাদি ভালো হয়।
সর্দি কাশি ভালো করে: এক গ্লাস হলুদ মিশ্রিত গরম দুধ পান করলে আমাদের সর্দি, কাশি, জ্বর ভালো করতে পারে। এছাড়াও আমাদের বুকে জমা থাকা কফ বাহিরে বের হতে সহায়তা করে এই হলুদ মিশ্রিত দুধ।
রক্ত বিশুদ্ধ রাখে: এক গ্লাস হলুদ মিশ্রিত গরম দুধ আমাদের দেহের রক্ত বিশুদ্ধ রাখতে সহায়তা করে, আমাদের লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়, শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, আমাদের শরীরের রক্তকে পরিষ্কার রাখে। শরীরে প্রচুর শক্তির যোগান দেয়।
গরম দুধ খেলে কি ঘুম আসে
আমাদের যখন ঘুমের অসুবিধা হয় তখন প্রায় সকল চিকিৎসকরাই আমাদেরকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম দুধ পান করতে বলেন। তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে গরম দুধ খেলে কি আমাদের ঘুম আসে নাকি আসে না? তাই আমি আমার দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গরম দুধ খেলে কি ঘুম আসে? দুধে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদানের খোঁজ পাওয়া গেছে। অনেক আগেই পুষ্টি বিদেরা জানিয়েছিলেন যে, দুধ এমন একটি পুষ্টিকর আদর্শ এবং সুষম খাদ্য। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান। দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়রন, মিনারেলস, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,
আরোও পড়ুন: কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো
অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। এটি সম্পূর্ণ বাস্তব কথা যে, গরম দুধ খেলে আমাদের ঘুম আসবে। কারণ দুধে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের ঘুম আসতে সহায়তা করে থাকে। আমাদের দেহে থাকা যে সকল উপাদানের অভাবে ভালো ঘুম হয় না বা ঘুম আসে না সেগুলোর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে দুধ। আমাদের শরীরে এক ধরনের হরমোন রয়েছে যাকে,
সেরোটোনিন বলা হয়। আমাদের শরীরে এই হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে অথবা এই হরমোনটি কার্যকারিতা কমিয়ে দিলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং সঠিকভাবে ঘুম হয় না। দুধে এক ধরনের বিশেষ অ্যামাইনো এসিড থাকে যাকে ট্রিপটোফ্যান বলা হয়ে থাকে। এই অ্যামাইনো এসিডটি আমাদের শরীরের সেরোটোনিন নামক হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে।
ফলে আমাদের ঘুম ভালো হয়, ঘুমের ব্যাঘাত দূর হয়। আবার দুধে আরেক ধরনের উপাদান রয়েছে যাকে কেসিন ট্রিপটিক হাইড্রোলাইসেট বলা হয়। যা আমাদের শরীরের সকল প্রকার ক্লান্তি, দুর্বলতা ও মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। দুধে এমন কিছু প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীর, মস্তিষ্ক ও মনকে শান্ত করতে সহায়তা করে। যার ফলে আমাদের ঘুম আসে। আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন গরম দুধ খেলে ঘুম হয় কিনা।
লেখক এর শেষ মন্তব্য-দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সুপ্রিয় পাঠক দুধের সর খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। তবে যদি আমরা সঠিক নিয়মে এবং সতর্কতা অবলম্বন করে দুধের সর খাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে উপকারিতাই বেশি পাওয়া যাবে। তবে যাদের দুধের স্বরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে দুধের সর না খাওয়াই ভালো। তার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াও জরুরী।
আশা করি আমার দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন এবং কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। আমার আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। যাতে করে তারাও আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে কিছু বিষয় জানতে পারে। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url