ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়-জানা প্রয়োজন

এমন অনেকেই আছেন যারা, ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়? এই প্রশ্নটি জানতে চান। আজকাল দিন দিন কিডনি রোগীর মাত্রা বেড়েই চলেছে। তাই উক্ত বিষয় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়াও অনেকেরই জানা প্রয়োজন যে রক্তে ক্রিয়েটিনিন কত হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়? 
আজকে আমি আমার আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সকলেই আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা প্রয়োজনীয় অনেক বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করি আপনারা সকলেই আমার আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন।

রক্তে ক্রিয়েটিনিন কত হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়

ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়? এই বিষয়টি জানার আগে আমাদের জেনে রাখতে হবে যে, রক্তে ক্রিয়েটিনিন কত হলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়? সেজন্য প্রথমে আমাদের জানতে হবে ক্রিয়েটিনিন সম্পর্কে। মানবদেহের বিপাক কর্ম বা মেটাবলিজমের কারণে উৎপন্ন হয় ক্রিয়েটিনিন। এটি ক্রিয়েটিন থেকে উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন ক্রিয়েটিনিন রক্তের মাধ্যমে আমাদের বৃক্ক বা কিডনিতে প্রবেশ করে। 

বৃক্ক বা কিডনি আমাদের শরীর থেকে ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থকে ছাকন প্রক্রিয়ায় মূত্রের সাহায্যে বাহিরে বের করে দেয়। যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে। রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে হলেই বোঝা যায় কিডনির সমস্যা রয়েছে। ক্রিয়েটিনিন আমাদের মাংসপেশীতে শক্তি উৎপাদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। 

আরো পড়ুন: মধুমেহ রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত

বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত স্বাভাবিক মহিলাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে 0.5 থেকে 1.1 মিলিগ্রাম পর্যন্ত। স্বাভাবিক পুরুষের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে 0.6 থেকে 1.2 মিলিগ্রাম পর্যন্ত। সাধারণত আমাদের সকলের শরীরে দুটি কিডনি থাকে। তবে যাদের শরীরে কোন কারণে একটি কিডনি নেই তাদের রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ক্রিয়েটিনিনের মান 1.8 মিলিগ্রাম। 

কিশোর বা কিশোরী ছেলে মেয়েদের রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মান থাকে 0.5 থেকে 1.0। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং মহিলাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মান 5.0 এবং শিশুদের শরীরে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মান 0.3 থেকে 0.7 মিলিগ্রাম থাকে। রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিনের এই মাত্রাগুলো বেড়ে যায়। তাহলে সেক্ষেত্রে কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মানুষের শরীরে কিডনি কোথায় থাকে

মানব দেহের প্রধান রেচন অঙ্গ হলো বৃক্ক বা কিডনি। একজন স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ মিলিলিটার মূত্র ত্যাগ করে। এই কাজটি সম্পন্ন হতে কিডনি সাহায্য করে। কিডনির সাহায্যে আমাদের দেহ থেকে মুত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। যেমন: ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি। যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পদার্থ।

এইসব অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ আমাদের মূত্রের মাধ্যমে অপসারণে কিডনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৃক্ক বা কিডনির ভেতরের নেফ্রন একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে মূত্র উৎপন্ন করে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক মানুষের শরীরে কিডনি কোথায় থাকে?  বৃক্ক বা কিডনি মানব দেহের উদর গহবরের পেছনের অংশে অবস্থান করে। মেরুদন্ডের দু দিকে, বক্ষ পিঞ্জরের নিচে, পৃষ্ঠপ্রাচীর সংলগ্ন অবস্থায় দুটি বৃক্ক অবস্থান করে। প্রতিটি বৃক্কের আকৃতি শিম বিচির মত এবং রং লালচে হয়ে থাকে।

ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়

আচ্ছা, রক্তে ক্রিটিনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি হলেই কি ডায়ালাইসিস করতে হয়? এই প্রশ্নটি প্রায় অনেকেই চিন্তা করেন। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কত হলে সাধারণত ডায়ালাইসিস করতে হয় এই সকল বিষয়গুলো আসলেই সকলেরই জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। আসুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়? 

নেফ্রলজিস্ট বা কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে বলা হয়ে থাকে যে, কিডনিতে যেকোনো সমস্যার কারণেই ডায়ালাইসিস করতে হবে এমন কোন ব্যাপার নেই। আমরা অনেকেই ভাবি যে, রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বা পরিমাণ সামান্য বেড়ে গেলেই ডালাইসিস করতে হয়। তবে এটি একদমই ভুল সিদ্ধান্ত। শুধুমাত্র ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে ডায়ালাইসিসের কোন সম্পর্ক নেই। 
হ্যাঁ, তবে যদি শিশুদের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ২ এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এর মাত্রা ৫.০ মিলিগ্রাম হয়ে থাকে তখন সেক্ষেত্রে রোগীকে ডায়ালাইসিস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। তবে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে ডায়ালাইসিস করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যেমন: জিএফআর (GFR)। 

জিএফআর (GFR) হল গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট (Glomerular Filtration Rate) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। কিডনির ক্রিয়েটিনিন ফিল্টারের কার্যকারিতা নির্ধারণ করার মাধ্যম হলো জিএফআর (GFR)। GFR বা গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেটের স্বাভাবিক মাত্রা হলো মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে ৭৫ থেকে ১১৫ মিলি থাকে এবং পুরুষের ক্ষেত্রে এর মাত্রা ৮৫ থেকে ১২৫ মিলি থাকে। জিএফআর (GFR) এর মান কমে গেলে এবং বেড়ে গেলে চিকিৎসকরা রোগীকে ডালাইসিস করানোর পরামর্শ দেন।

কিডনি কিভাবে রক্ত পরিশোধন করে

কিডনিকে মানব দেহের ছাঁকনি বলা হয়। কিডনির মূল কাজ হল আমাদের দেহের রক্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে বের করা। যেমন: ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি। কিডনি আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। প্রতিদিন কিডনি আমাদের দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্ত পরিশুদ্ধ করে। প্রতিদিন কিডনি আমাদের শরীর থেকে ২০০ কোয়ার্টস রক্ত থেকে ২ কোয়ার্টস দূষিত পদার্থ এবং অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। 
এই সকল দূষিত পদার্থ আমাদের দেহে জমা থাকলে নানান ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো বৃক্ক বা কিডনি যদি অপসারিত না করতে পারে। তাহলে আমাদের দেহে দূষিত পদার্থ গুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং শরীরকে ধ্বংস করে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। যেমন: খাবারের প্রতি অরুচি দেখা যায়, বমি বমি ভাব হয়। প্রস্রাবের সাথে ভিটামিন ও প্রোটিন বের হয়ে যায়, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় ইত্যাদি। 

বৃক্কের বা কিডনির ইউরিনিফেরাস নালিকার ক্ষরণকারী অংশ এবং কাজ করার একককে নেফ্রন বলে। গবেষণায় জানা গিয়েছে মানবদেহের প্রতিটি বৃক্কে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ নেফ্রন থাকে্ বৃক্ক বা কিডনির ভেতরের একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে মূত্র উৎপন্ন করে। উৎপন্ন মূত্র সংগ্রাহী নালিকার মাধ্যমে কিডনির পেলভিসে পৌঁছায় এবং পেলভিস থেকে ইউরেটরের ফানেল আকৃতির প্রশস্ত অংশ বেয়ে ইউরেটারে প্রবেশ করে। 

ইউরেটার থেকে মূত্র মূত্রথলিতে আসে এবং সাময়িকভাবে জমা থাকে। মূত্র দিয়ে মূত্রথলি একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত পূর্ণ হলে মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা জাগে এবং মূত্রথলির নিচের দিকে অবস্থিত ছিদ্রপথে মূত্র দেহের বাইরে বেরিয়ে আসে।

ডায়ালাইসিস কত দিন পর পর করতে হয়

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ডায়ালাইসিস কতদিন পর পর করতে হয়। আমাদের কিডনি বিকল বা অকেজো হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়ায় রক্ত পরিশোধিত করতে হয়। এর জন্য আমাদের প্রথমে জানতে হবে ডায়ালাইসিস কি? বৃক্ক সম্পূর্ণ অকেজ বা বিকল হওয়ার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করার প্রক্রিয়াকেই ডায়ালাইসিস বলা হয়। 

আরো পড়ুন: কিডনিতে পাথর হলে কি করে বুঝবো

সাধারণত ডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্যে রক্ত পরিশোধিত করা হয়। এই মেশিনের ডায়ালাইসিস টিউবটির এক প্রান্ত রোগীর হাতের ধমনীর সাথে এবং অন্য প্রান্ত ওই হাতের কব্জির শিরার সাথে সংযোগ করা হয়। ধমনী থেকে রক্ত ডায়ালাইসিস এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করানো হয়। এর প্রাচীর আংশিক বৈষম্য হওয়ায় ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বাইরে বেরিয়ে আসে।

পরিশোধিত রক্ত রোগীর দেহের শিরার মধ্য দিয়ে দেহের ভিতর পুনরায় প্রবেশ করে। এভাবেই কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্যে নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বাইরে নিষ্কাশন করা হয়। তবে এটি একটি ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। এবার আসুন জেনে নেই কতদিন পর পর ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়াটি করতে হয়? যে সকল কিডনি রোগীদের অনেক গুরুতর অবস্থা হয়ে থাকে তাদেরকে সারা জীবন ডালাইসিস করাতে হয়। 

কিন্তু যেসব রোগীদের কিডনি খুব খারাপের দিকে যায়নি, তাদের ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক বার ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়াটি গ্রহণের পরপরই আর ডায়ালাইসিস করাতে হয় না। কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেক সপ্তাহে কিডনি রোগীদের দুই থেকে তিন দিন ডায়ালাইসিস করানো হয় এবং প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে এই প্রক্রিয়ায় রক্ত পরিশোধিত করা হয়।

ডায়ালাইসিস করলে কি কিডনি ভালো হয়

ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমাদের এটিও জেনে রাখা প্রয়োজন যে ডায়ালাইসিস করলে কি কিডনি ভালো হয়? কিডনি বিকল বা অকেজো হয়ে গেলে দুইটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। একটি হল কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া এবং অন্যটি হলো ডায়লাইসিস প্রক্রিয়া। 

প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া হলো যখন কোন ব্যক্তির কিডনি অকেজো বা বিকল হয়ে যায় তখন কোন সুস্থ ব্যক্তির কিডনি তার দেহে প্রতিস্থাপন করাকে বোঝায়। আর ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়াটি হল ডায়ালাইসিস মেশিনের দ্বারা রোগীর শরীরের রক্ত পরিশোধিত করাকে বোঝায়। কিডনি রোগের চিকিৎসায় এই দুটি প্রক্রিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল প্রক্রিয়াটি হল ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া। এবার আসুন ডায়ালাইসিস করলে কি কিডনি ভালো হয় এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 

আরো পড়ুন: কত পয়েন্ট ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন নিতে হয়

আমি আগেই বলতে চাই যে, কিডনি বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে থাকেন সকল কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রেই ডায়ালাইসিস করার পর ফলাফল একই রকম আসেনা। যে সকল কিডনি রোগীদের কিডনি খুব অল্প পরিমাণে ড্যামেজ বা বিকল হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় যে আস্তে আস্তে কিডনি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ডায়ালাইসিস করানোর মাধ্যমে। তবে যে সকল কিডনি রোগীদের দুটি কিডনিই খুব বেশি পরিমাণে ড্যামেজ বা বিকল হয়ে গেছে, 

তাদের ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করানোর ফলে কিডনি আবার আগের মত সচল নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীকে কিডনি প্রতিস্থাপন করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিডনি প্রতিস্থাপন এর ক্ষেত্রে আবার অনেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। রোগীর শরীরের কিডনির সাথে যেই কিডনি প্রতিস্থাপন করানো হবে সেই কিডনির কোষের গঠন ম্যাচ করতে হবে। 

এই কিডনিটি সুস্থ কিডনি কিনা সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত কিডনি রোগের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কিডনির কোষ মিলে যায়। যেমন: পিতা, মাতা, ভাই, বোন বা নিকটবর্তী কোন আত্মীয়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

কিডনি বিকল হলে মূত্রের পরিমাণ কমে যায়। রক্তের ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায়। তখন রক্তের বর্জ্য পদার্থ অপসারণ এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পরপর রোগীকে ডায়ালাইসিস করা হয়। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে কিডনি খুব তাড়াতাড়ি বিকল হয়ে যায়। 

আশা করি আমার ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয় সম্পর্কিত আর্টিকেলটি আপনারা পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগলে, অবশ্যই আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব দের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে তারাও কিডনি রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারে এবং কিছুটা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url