চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল-নাকি খারাপ জানেন কি
চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল? এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। যা আমাদের জন্য জানা প্রয়োজন। আপনারা অনেকেই হয়তো এই সম্পর্কে অনেক জায়গাতে খোঁজাখুঁজি করে সঠিক তথ্য পান নি। তাই আমি আমার আজকের আর্টিকেলটি উক্ত বিষয়টি নিয়ে শুরু করেছি।
এটি ছাড়াও আমার আর্টিকেলটিতে আপনাদের প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেমন: চিয়া সিড কি প্রতিদিন খাওয়া যায়? সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন এবং আশা করছি কিছুটা উপকৃত হবেন।
চিয়া সিড খেলে কি ক্যান্সার হয়
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা চিয়া সিডকে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। তবে আমরা কি জানি চিয়া সিড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্যান্সার কোষ উৎপন্ন হয় কিনা। অর্থাৎ ক্যান্সার রোগ আমাদের দেহে আক্রান্ত হয় কিনা। এ সম্পর্কে ধারণা রাখা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই আমি আমার চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে চিয়া সিড খেলে কি ক্যান্সার হয়?
এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। চিয়া সিড খেলে ক্যান্সার হয় কিনা এই সম্পর্কে গবেষণায় এখনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জানা গেছে যে, অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড গ্রহণের ফলে ক্যান্সার কোষ উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা জানি চিয়া সিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি বীজ।
আরো পড়ুন: চিয়া সিড কাদের খাওয়া উচিত না
তবে সকল উপকারী বস্তুর কিছু কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড সেবন করে থাকি তাহলে এটি আমাদের বিভিন্ন ভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। যেমন: অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড গ্রহণ করলে আমাদের দেহে প্রটেস্ট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল
চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভালো? অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন। আজকে আমি আমার চিয়া সিড সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে উক্ত বিষয়টি মূল আলোচনায় রেখেছি। যারা কিডনি রোগে ভুগছেন এবং যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন উভয় ধরনের ব্যক্তিদের জন্য এই প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কারণ আমরা অনেকেই চিয়া সিড সম্পর্কে সঠিক ধারণা গ্রহণ না করেই এটিকে সেবন করে থাকি।
তাই চিয়া সিড গ্রহণের পর কেউ কেউ উপকারিতা লাভ করেন। আবার কেউ কেউ অপকারিতা পেয়ে থাকেন। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত সুস্থ কিডনি বহনকারী মানুষের চিয়া সীড গ্রহণের ফলে তেমন কোন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
মানুষ যে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেই তাদের খাবারে অনেকটা সীমাবদ্ধতা চলে আসে। তাই কিডনি রোগীরা চিয়া সিড খেতে পারবে কিনা এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। চিয়া সিড কিডনির জন্য খুবই উপকারী হয়ে থাকে। তবে আমাদের মাঝে কারোর যদি কিডনির সমস্যা থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড গ্রহণ করা অবশ্যই জরুরি।
কারণ চিয়া সিড যতটা উপকারী আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য হয়ে থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি আমাদের জন্য অপকারিতাও বয়ে আনে। চিয়া সিড গ্রহণের ফলে আমাদের দেহের পানি শূন্যতা দূর হয় ফলে কিডনির স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো থাকে। তবে আমাদের এই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে যে চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান থাকে।
আরো পড়ুন: সকালে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
যা অসুস্থ বা বিকল কিডনির জন্য কিছুটা ক্ষতিকর হয়ে থাকে। তাই আমাদের অত্যন্ত সচেতনতার সাথে চিয়া সিড গ্রহণ করা জরুরী।
চিয়া সিড কি প্রতিদিন খাওয়া যায়
আজকাল মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া ছাঢ়াও প্রতিদিন ডায়েট চার্টে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি চিয়া সিডও রাখতে শুরু করেছে। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েট খাবার প্রচুর পরিমাণে হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এই চিয়া সিড। এখন প্রায় সকলেই চিয়া সিড সম্পর্কে জানে এবং এই পুষ্টিকর বীজটির গুরুত্ব সম্পর্কে রয়েছে। তবে আমরা কি জানি যে, চিয়া সিড প্রতিদিন খাওয়া যায় কিনা?
তাই আমি আমার আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। আজকের আমার আর্টিকেলের মূল আলোচনার বিষয় হল চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন যে, প্রতিদিন চিয়া সিড খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হয়ে থাকে। তাই আমরা বলতে পারি চিয়া সিড অবশ্যই প্রতিদিন খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের জন্য জরুরী।
আরো পড়ুন: ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
কারণ চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার এবং প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন রকমের রোগ বালাইয়ের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরকে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে। শরীরের দুর্বলতা দূর করে।অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমরা যদি প্রতিদিন চিয়া সিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে,
বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাবো। যেমন: আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে সহায়তা করবে, আমাদের হার্ট এর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। সুতরাং আমরা জানলাম যে চিয়া সিড প্রতিদিন খাওয়া যায়। তবে আমরা যদি এই পুষ্টিকর উপাদানটিকে মাত্রা অতিরিক্ত খেয়ে থাকি তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
চিয়া সিড ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানিনা চিয়া সিড ও মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আমাদের এটিও জেনে রাখা জরুরী যে, চিয়া সিড ও মধু খাওয়ার উপকারিতা। স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষ আজকাল প্রতিদিনের ডায়েট চার্টে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখতে শুরু করেছে। যেমন: দুধ, ওটস, বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফলমূল, মধু, চিয়া সিড, ডিম, লেবুর রস,
মেথি দানা এই ধরনের আরো অনেক সুপার ফুড। তবে আমরা কি জানি চিয়া সিড ও মধু এই দুই সুপার ফুড একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে কেমন উপকারিতা লাভ করা যায়। আমরা জানি চিয়া সিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী পুষ্টিকর এক ধরনের দানা এবং মধু ও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। আমরা হয়তোবা এই দুইটি উপকারী উপাদান গুলো একসঙ্গে না খেয়ে আলাদাভাবে গ্রহণ করছি।
তবে এই দুটি একসঙ্গে খাওয়ার ফলে এদের যেই পুষ্টিগুণ রয়েছে তা আরো দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। মধু এবং চিয়া সিড দুইটি উপাদানই আমাদের অতিরিক্ত শারীরিক ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে আমরা যদি চিয়া সিড এবং মধুকে একসঙ্গে মিশিয়ে খাই তাহলে এর ফলে আমাদের শারীরিক ওজন অনেক দ্রুতই কমতে শুরু করবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে এটি অনেকটাই কার্যকরী হয়ে উঠবে।
মধু এবং চিয়া সিড এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের শরীরে প্রচুর এনার্জি দিয়ে থাকে। তবে আমরা যদি এই দুইটি উপাদানকে একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে শুরু করি তাহলে আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে। পাশাপাশি আমাদের শরীরের কর্ম ক্ষমতা দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পাবে। চিয়া সিড এবং মধু দুটি উপাদানই আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: পায়ের তালু ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
আর যদি আমরা এই দুটি উপাদানকেই একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে তো কথাই নেই। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক ভাবে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
লেখক এর শেষ মন্তব্য-চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল
সুপ্রিয় পাঠক আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা এই সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন যে চিয়া সিড কিডনির জন্য কতটা ভাল । চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যাদের এই পুষ্টিকর উপাদানটি খাওয়ার ফলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা কিডনি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাদেরকে অবশ্যই এই উপাদানটিকে এড়িয়ে চলতে হবে।
আর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আশা করি আমার সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। আজকের আমার আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url